20 April 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

আমেরিকায় আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

Share

স্টাফ রিপোর্টার:
আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আমেরিকার ভার্জিনিয়া, নিউইয়র্ক শহর শহ আরও বিভিন্ন শহরে দিনটি পালিত হয়।
নিউইয়র্ককের জালালাবাদ ভবণে আয়োজিত মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

এদিকে নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নতুন ভবণ ক্রয় নিয়ে বেশ কিছু ধরে মনোমালিন্য চলছে। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের নীতিমালা অনুসরণ না করে ভবণ ক্রয় করেছেন বলে বলা হচ্ছে। তবে সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ বলছে সভাপতি সংগঠন পরিচালনা করতে কতটুকু নীতিমালা অনুসরণ করেছেন? এটা নিয়ে সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দ্বন্ধ চলছে। ফলে সহজে এই দ্বন্ধের নিরসন হচ্ছে না। যা মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রভাব ফেলে। এজন্য এসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

বিডিআইটি ডোমেইনের সিইও ও আইটিএফইউএসের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর চৌধুরী তানভীর বলেন, জালালাবাদ এসোসিয়েশন নিয়ে যে সমস্যা চলছে সেটির আশু সমাধান করা দরকার। এতে উভয়পক্ষ যাতে মিলিত হয়। সকল নীতিমালা অনুসরণ করা সকল সময় সম্ভব হয় না। এই বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।

তিনি বলেন, উভয়পক্ষকে মিলিত করার জন্য কোন প্রয়োজন হলে তিনি তা করতে প্রস্তুত আছেন। এছাড়াও ওনার কাছে বিভিন্ন ব্যক্তি যোগাযোগ করতেছেন যে বিষয়টি সমাধান করে দেবার জন্য। আমি চাই সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে যে দ্বন্ধ চলছে সেটির অবসান হোক। এগিয়ে যাক জালালাবাদ এসোসিয়েশন।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় জালালাবাদ এসোসিয়েশন সেখানে বসবাসরত সিলেটিদের নিয়ে কাজ করবে। বাংলাদেশের জালালাবাদ এসোসিয়েশন বাংলাদেশীদের নিয়ে কাজ করবে। এটা মাথায় রাখলে অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আর আমাদের আইটিএফইউএস জালালাবাদ এসোসিয়েশনকে সহযোগীতা করবে সকল সময়।

মোস্তাফিজুর চৌধুরী বলেন, সিলেটের মানুষকে রক্ষণশীল মানুষ বলা হয়। রাজা গৌর গোবিন্দকে পরাজিত করে এখানে ইসলামের প্রসার ঘটান হযরত শাহজালাল (র.)। এই সিলেটের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে রয়েছে আজান, নামাজের সংস্কৃতি, ইসলামী সংস্কৃতি। এখানে অপসংস্কৃতির চর্চা নেই। গানের সংস্কৃতির চর্চা নেই। সিলেটের সংস্কৃতি হচ্ছে রক্ষণশীল সমাজের। এই সিলেট থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রসার ঘটে। তাই এই সংস্কৃতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।