20 April 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

এশিয়া কাপের ট্রপি উঠলো শ্রীলংকার হাতে

Share

এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাদের করা ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ২৩ রানের জয়ে শিরোপা জিতে লঙ্কানরা।

লাইভ স্কোর:
পাকিস্তান: ১৪৭/১০ (১০ ওভারে)
ব্যাটিং: হাসনাইন ৮* ও …।
আউট: ২২/১ (বাবর ৫), ২২/২ (ফখর ০), ৯৩/৩ (ইফতিখার ৩২), ১০২/৪ (নাওয়াজ ৬), ১১০/৫ (রিজওয়ান ৫৫), ১১১/৬ (আসিফ ০), ১১২/৭ (খুশদীল ২), ১২০/৮ (শাদাব ৮), ১২৫/৯ (নাসিম ৪), ১৪৭/১০ (রউফ ১৩*)।
বোলিং: মাদুশান ৪/৩৪, হাসারাঙ্গা ৩/২৬, চামিকা ২/২৫, থিকশানা ১/২৫।

শ্রীলঙ্কা: ১৭০/৬ (২০ ওভারে)
ব্যাটিং: রাজাপাকসে ৭১* ও চামিকা ১৪* ।
আউট: ২/১ (কুশাল ০), ২৩/২ (নিসানকা ৮), ৩৬/৩ (গুনাথিলাকা ১), ৫৩/৪ ( ধনঞ্জয়া ২৮), ৫৮/৫ (শানাকা ২), ১১৬/৬ (হাসারাঙ্গা ৩৬) ।
বোলিং: নাসিম ১/১১, রউফ ৩/২১, শাদাব ১/১২, ইফতিখার ১/১৩ ।
ফল: শ্রীলঙ্কা ২৩ রানে জয়ী এবং চ্যাম্পিয়ন।
হাসারাঙ্গার ওভারে এলোমেলো পাকিস্তান:

শেষ ওভার করে এসে পাকিস্তানকে এলোমেলো করে দেন হাসারাঙ্গা। প্রথমে ফিফটি করা রিজওয়ানকে ফেরান। একবল পরেই নতুন ব্যাটসম্যান আসিফ আলীকে বোল্ড করেন। আর পঞ্চম বলে ২ রান করা খুশদীল শাহকে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। তার করা ১৭তম ওভারে এলোমেলো হয়ে যায় পাকিস্তান।
শতরানে যেতে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পাকিস্তান:
দারুণ বোলিং করা প্রমোদ মাদুশান ১৪তম ওভারে ফিরে এসেই ফেরান ইফতিখারকে। তার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ইফতিখার। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ রান করে যান তিনি। এরপর দ্রুতই ফেরেন নাওয়াজ। ১০২ রানের মাথায় চামিকা করুণারত্নের বলে মাত্র ৬ রান করে আউট হন তিনি।

রিজওয়ান-ইফতিখারের ব্যাটে এগোচ্ছে পাকিস্তান:
মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে এগোচ্ছে পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে এই জুটি ইতোমধ্যে ৫৪ বলে ৬৯ রান তুলেছে। তাতে পাকিস্তানের সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ উইকেটে ৯১। রিজওয়ান ৪৪ ও ইফতিখার ৩২ রানে ব্যাট করছেন।

১০ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬৮/২:
ব্যাট করতে নেমে ২২ রানেই ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর ৫ ও ফখর শূন্যারানে ফেরেন। এরপর দাঁড়িয়ে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদ। তৃতীয় উইকেটে এই জুটি ইতোমধ্যে ৩৯ বলে ৪৬ রান। তাতে ১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২ উইকেটে ৬৮। রিজওয়ান ৩৬ ও ইফতিখার ১৭ রানে ব্যাট করছেন।

পাওয়ার প্লে-তে দুই উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান তুললো পাকিস্তান:
শ্রীলঙ্কার করা ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান তুলেছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৬ ও ইফতিখার ৬ রানে ব্যাট করছেন।
দুই বলে দুই উইকেট হারালো পাকিস্তান:
শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ১৭১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩ ওভারেই ২০ রান তোলে পাকিস্তান। কিন্তু চতুর্থ ওভারে পর পর দুই বলে হারায় ২ উইকেট। প্রমোদ মাদুশানের দ্বিতীয় বলে প্রথমে ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম (৫)। পরেই বলেই বোল্ড হন ফখর জামান।

রাজাপাকসের ব্যাটে পাকিস্তানকে ১৭১ রানের টার্গেট দিলো শ্রীলঙ্কা:
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে ভানুকা রাজাপাকসে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ব্যাটে ভর করে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। ১১৬ রানে হাসারাঙ্গা ২১ বলে ৩৬ রান করে ফিরলেও রাজাপাকসেকে আউট করা যায়নি। তিনি ৪৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা।
বল হাতে পাকিস্তানের হারিস রউফ ৩টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন নাসিম, শাদাব ও ইফতিখার।
রাজাপাকসের ফিফটিতে দেড়’শ পেরিয়ে শ্রীলঙ্কা:
ভানুকা রাজাপাকসের ফিফটিতে ভর করে দেড়’শ পেরিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৩৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। তার ফিফটিতে (৫৭) ভর করে ১৯ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার রান ১৫৫ পেরিয়েছে।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা রাজাপাকসে-হাসারাঙ্গার জুটি ভাঙলেন রউফ:
পঞ্চাশ পেরুনোর পর পরই ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ধারনা করা হচ্ছিল অল্প রানেই গুটিয়ে যাবে তারা। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে পাল্টা জবাব দেন রাজাপাকসে ও হাসারাঙ্গা। তারা দুজন মাত্র ৩৬ বলে ৫৮ রান তুলে দলীয় সংগ্রহকে ১১৬ পার করান। এই রানে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। তার বলে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন হাসারাঙ্গা। মাত্র ২১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান করে যান তিনি।
রাজাপাকসে-হাসারাঙ্গায় শ্রীলঙ্কার পাল্টা জবাব:
৫৮ রানেই ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভানুকা রাজাপাকসে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ব্যাটে। ষষ্ঠ উইকেটে এই জুটি ইতোমধ্যে ৩৫ বলে ৫৮ রান সংগ্রহ করেছে। তাদের জুটিতে ভর করে ১৪ ওভারে শতরান পেরিয়েছে লঙ্কানরা। রাজাপাকসে ২৮ বলে ৩৭ ও হাসারাঙ্গা ১৬ বলে ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।
পাকিস্তানের বোলিং তোপের মুখে শ্রীলঙ্কা:
টস হেরে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কাকে শুরুতেই চেপে ধরেন পাকিস্তানের পেসাররা। পাওয়ার প্লে-তে দুই পেসার হারিস রউফ ও নাসিম শাহ শ্রীলঙ্কার ৩ উইকেট তুলে নেন। এরপর পাকিস্তানের স্পিনাররা আক্রমণে এসেই তুলে নেন শ্রীলঙ্কার আরও দুই উইকেট। তাতে ৫৮ রানেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট।
দলীয় ৫৩ রানের মাথায় ইফতিখারের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান থিতু হওয়া ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তিনি ২১ বলে ৪ চারে ২৮ রান করে যান। পরের ওভারেই অধিনায়ক শানাকাকে ফেরান শাদাব খান। তিনি বোল্ড হয়ে যান মাত্র ২ রানে।

পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা:
পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান কুশাল মেন্ডিস। এরপর পাথুম নিসানকা ও দানুস্কা গুনাথিলাকা আউট হন থিতু হওয়ার আগেই। হারিস রউফ ২টি ও নাসিম শাহ ১টি উইকেট নেন।

রউফের দ্বিতীয় শিকার গুনাথিলাকা:
প্রথম ওভারেই পাথুম নিসানকাকে আউট করেছিলেন। এক ওভার পর ফিরে এসে ফেরান দানুস্কা গুনালিথাকাকে। তার করা ১৫১ কিলোমিটার গতির বল সামলাতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান নিসানকা। তার অফ ও মিডেল স্ট্যাম্প এলেমেলো হয়ে যায়। ৪ বল খেলে ১ রান করে যান তিনি।
এসেই নিসানকাকে ফেরালেন রউফ:
প্রথম ওভারেই নাসিম শাহর আঘাতের ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছিল শ্রীলঙ্কা। ২ রানে কুশাল মেন্ডিসকে হারানোর পর নিসানকা ও ধনঞ্জয়া টানছিলেন দলীয় সংগ্রহকে। ৩ ওভার শেষে তারা দুজন তুলে ফেলেছিলেন ২৩ রান। কিন্তু চতুর্থ ওভারে বল হাতে এসেই এই জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। তার করা দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে অধিনায়ক বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন পাথুম নিসানকা। ১১ বলে ১ চারে ৮ রান করে যান তিনি।
প্রথম ওভারেই সাফল্য পেলেন নাসিম শাহ:
ফাইনালের প্রথম ওভারেই সাফল্য পেয়েছেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার নাসিম শাহ। ১৪২ কিলোমিটার গতিতে করা ইনিংসের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কুশাল মেন্ডিস। তিনি গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন।

টস:
এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি অবশ্য ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টস হেরে ব্যাট করবে শ্রীলঙ্কা। টস জিতলেও শ্রীলঙ্কাও বোলিং নিতো। এমনটাই জানিয়েছেন দাসুন শানাকা।
এক ম্যাচ বিশ্রামের পর পাকিস্তানের একাদশে ফিরেছেন অলরাউন্ডার শাদাব খান ও পেসার নাসিম শাহ। একাদশের বাইরে গেছেন সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা উসমান কাদির ও হাসান আলী। অন্যদিকে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তানের একাদশ:
মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদীল শাহ, শাদাব খান, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নাওয়াজ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন ও নাসিম শাহ।
শ্রীলঙ্কার একাদশ:
পাথুম নিসানকা, কুশাল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), দানুস্কা গুনাথিলাকা, ভানুকা রাজাপাকসে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুণারত্নে, মাহিশ থিকশানা, দিলশান মাদুশঙ্ক ও প্রমোদ মাদুশান।
এর আগের সবগুলো আসরে অংশ নিয়ে শ্রীলঙ্কা ৫ বার জিতেছে এশিয়া কাপের শিরোপা। অন্যদিকে পাকিস্তান জিতেছে ২ বার। শ্রীলঙ্কা ১৯৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৫, ২০০০ ও ২০১০ সালে রানার্স-আপ হয়েছিল। অন্যদিকে পাকিস্তান ২০০০ ও ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর ১৯৮৬ ও ২০১৪ সালে হয়েছিল রানার্স-আপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *