জামায়াতের আমীরের ২০ দলীয় ‘জোট ত্যাগ’ বিষয়ক বক্তব্যের জবাবে কোনও মন্তব্য করেননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিক হিসাবে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি উত্তর দেব না। জিজ্ঞাসা করাটা যেমন আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, তেমনি উত্তর না দেওয়াটাও আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনারা গণতান্ত্রিকভাবে যা খুশি বলতে, লিখতে পারেন।
সোমবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচি আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির কর্মসূচি ২২ আগস্ট থেকে চলমান রয়েছে। কর্মসূচিতে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ার কারণে এই কর্মসূচির সময় বাড়ানো হয়েছে। যেসব জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, মহল্লায় কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হয়নি সেসব স্থানে এ কর্মসূচি আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কর্মসূচিতে জনগণের সম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগের যে সন্ত্রাসী চরিত্র, সেটা আরও একবার উদ্ভাসিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের রক্তেই সন্ত্রাস রয়েছে। তারা রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। বলপ্রয়োগ ছাড়া তাদের টিকে থাকার আর কোনও যোগ্যতা নেই।
আওয়ামী লীগ আবারও দমন নীতির আশ্রয় নিয়েছে। যদিও কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কাউকেই গ্রেপ্তার করা হবে না। বিরোধী দলের সবাইকে সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, উল্টা রূপ। আওয়ামী লীগ কথা বলবে একটা, কাজ করবে আরেকটা। এভাবেই তারা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নিয়ে জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিএনপিতে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। দলটির নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, বিএনপির সঙ্গে থাকা নিয়ে জামায়াত আমির যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বিএনপির জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর এবং অস্বস্তিকর। তবে দলটির সিনিয়র নেতারা এ পরিস্থিতিতে কথা বলতে চাইছেন না।