14 December 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

আজ আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পরীক্ষা বিরোধী দিবস

Share

আজ আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পরীক্ষা বিরোধী দিবস। মারাত্মক ক্ষতিকর জেনেও বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো অত্যাধুনিক সব পরমাণু অস্ত্রের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে। নিজেদের আরো শক্তিশালী করতে এ খাতে কোটি কোটি অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে।

অথচ এসব পরীক্ষা থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় কণা’র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মারাত্মক। যা ক্যান্সারে আক্রান্তসহ বিকলাঙ্গ শিশু জন্মেরও পথ তৈরি করছে।

জাতিসংঘ ২০০৯ সালের ২ ডিসেম্বর, ২৯ আগস্টকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পরীক্ষা বিরোধী দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। সে থেকে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবসের উদ্দেশ্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বিস্ফোরণ বা অন্য কোনো পারমাণবিক বিস্ফোরণের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের লক্ষ্য অর্জনে এসব কাণ্ড বন্ধ করার জন্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইতিহাস খুবই ভয়াবহ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে দুটি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছিল। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট ‘লিটল বয়’ নামের পারমাণবিক বোমা ফেলা হয় জাপানের হিরোশিমাতে। এর তিনদিন পর ‘ফ্যাটম্যান’ নামক দ্বিতীয় বোমাটি নিক্ষেপ করা হয় নাগাসাকিতে। ভয়াবহ এসব বিস্ফোরণে তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরে মারা যায় আরো অনেকে। তেজস্ক্রিয়তার কারণে সেইসব এলাকায় এখনো অনেক বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয়।

সেই ঘটনার পরও শত শতবার পরীক্ষামূলক ও প্রদর্শনের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

তবে অনেক আগে থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের দাবি এসেছে। ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন থেকে পরমানু অস্ত্রবিরোধী প্রস্তাব তোলা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব তোলা হয় ১৯৫৯ সালে। এরপর ১৯৭৫ সাল থেকে নিউক্লিয়ার নন-প্রোলিফারেশন ট্রিয়েটি বা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির পক্ষের রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে একটি রিভিউ প্রোগ্রাম চালু করে। যা প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এরপরও পরমানু শক্তিধর দেশগুলোর কাছে হাজার হাজার পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেগুলোকে অত্যাধুনিক করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *