
স্টাফ রিপোর্টার::
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার দুটি সীমান্ত দিয়ে ২৫ জনকে আরও ২৫ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তার মধ্যে ১৯জনকে পুলিশ আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের কাকমারা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নারী পুরুষ ও শিশুরসহ ১৯ জনকে পুশইন করা হয়।
এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় পুশইনের ঘটনায় ৪০৩জন বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন। তার মধ্যে বড়লেখা উপজেলা দিয়ে ২৯২ জন, জুড়ী উপজেলা দিয়ে ১০ জন, কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে ২১ জন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা দিয়ে ১৯ জন ও কমলগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ৬১ জন। এছাড়াও আরও কয়েক শতাধিক লোক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করলেও বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসন তাদের আটক করতে পারেনি।
আটককৃতরা হলেন শরীয়তপুরের সখিপুর থানার মো. বিল্লাল (৫১), মরিয়ম বেগম (৪০), নিলুফার বেগম (৩৮), যশোরের শর্শা উপজেলার আলি মিয়া (৬০), মো. মিলন শেখ (৩৫) ও তার স্ত্রী মুসলিমা খাতুন (৩০), রহিমা খাতুন (৪৫), রুপালী বেগম (৩৫), একই জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শাহানারা খাতুন (৫০), নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার শেফালী (৩৫) স্বপ্না বেগম (১৫), সাতক্ষীরার কলেরা উপজেলার আমির মোল্লা (১৪), রিমা খাতুন (২৭), রিমা খাতুন (২৭), আলী মিয়া (৬০), রহিমা খাতুন (৪৫), শাহানারা খাতুন (৫০), চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার খোরশেদ আলম (৩১) ও তাসলিমা খাতুন (৩৫)। আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের মুম্বাইসহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত থাকার কথাও পুলিশকে জানিয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের কাকমারা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে নারী পুরুষ ও শিশুরসহ ১৯ জন। তারা ওই এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান করছিল। স্থানীয় এলাকাবাসী তাদেরকে একটি বাড়িতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল যশোর, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত। আটককৃতদের মাঝে পুরুষ ৬ জন মহিলা ৯ জন শিশু ৪ জন রয়েছে।
অপরদিকে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্ত দিয়ে আরও ৬জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ বলে জানিয়েছেন ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম জাকারিয়া। তাদেরকে স্থানীয় বিওপি রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের নাম ঠিকানা পরে জানানো হবে।