ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভেঙে গেছে। বুধবার (২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক বিবৃতির মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথাটি জানিয়েছেন ট্রুডো। এছাড়া তার স্ত্রীও আলাদা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কানাডায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ট্রুডো দম্পতিকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। ফলে তিন সন্তানের জনক ও জননীর এ বিচ্ছেদে অবাক হয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
কী কী কারণে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল?
জাস্টিন ট্রুডো এবং সোফি ২০০৫ সালে বিয়ে করেন। তাদের মধ্যে মাত্র তিন বছরের বয়সের ব্যবধান ছিল। জাস্টিন ট্রুডোর জন্ম হয়েছিল ১৯৭১ সালে। অপরদিকে তার স্ত্রীর জন্ম হয় ১৯৭৫ সালে। ট্রুডো ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হন। তার বাবাও কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। যখন ২০০৫ সালে সোফির সঙ্গে তার বিয়ে হয় তখন এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ ভালোই মাতামাতি দেখা গিয়েছিল।
ট্রুডো দম্পতির বিচ্ছেদে বয়সের ব্যবধান, ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবন, একে-অপরের প্রতি বিশ্বাস না থাকা এবং পারিবারিক চাপ হয়ত প্রভাব রেখেছে— এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এসব কারণের কোনোটিই নিশ্চিত নয়।
এছাড়া ট্রুডোর নারী রাজনৈতিক সহকর্মী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলির সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকার একটি গুঞ্জন বের হয়েছিল। আর এ গুঞ্জন ট্রুডো দম্পতির বিয়েতে প্রভাব রেখেছিল বলে ধারণা করা হয়।
জাস্টিন ট্রুডো এবং সোফির মধ্যে দূরত্বটা গত কয়েক বছর ধরেই পরিলক্ষিত হচ্ছিল। তাদের একসঙ্গে জনসম্মুখে খুব বেশি দেখা যাচ্ছিল না। তবে বিচ্ছেদের ঘোষণার পর তারা জানিয়েছেন, তিন সন্তানের বেড়ে ওঠার দিকেই এখন তারা নজর দেবেন এবং একে-অপরকে এক্ষেত্রে সহায়তা করবেন।