ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে দলগত পারফরম্যান্সে দারুণ ফল পেয়েছে বাংলাদেশ। সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার নিশ্চিতের পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিলে তিনে অবস্থান করছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে প্রায় সবগুলো সিরিজেই নিজেদের ছাপ রেখেছে বাংলাদেশ। দলগত অর্জনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্জনও ছিল বেশ। কেমন ছিল ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স তা উঠে আসছে এই প্রতিবেদনে—
শেষ দশ ইনিংসে তামিম ইকবালের ব্যাটে মাত্র একটি ফিফটি আসলেও সুপার লিগে তামিম দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। ২৪ ইনিংসে তার রান ৭৮৩। গড় রান ৩৪.০৪। স্ট্রাইক রেট ৭৬.২৪। ১ সেঞ্চুরির সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ৬ হাফ সেঞ্চুরি। তার স্ট্রাইক রেট, ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, অন্যদের চেয়ে একেবারেই খারাপ করেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক।
২০ ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের রান ৭৫৫। তার ব্যাটিং গড় সবচেয়ে বেশি। ৪৪.৪১। আর স্ট্রাইক রেট ৭৭.৭৫। ১ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটিতে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে মুশফিক আছেন দুই নম্বরে। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান শেষ দুই সিরিজে ছয় নম্বরে থিতু হয়েছেন। দুটি সিরিজেই নিজের কারিশমা দেখিয়ে ভালো অবস্থানে গেছেন।
তামিমের সঙ্গী লিটন দাস ২৩ ইনিংসে ৬৫৫ রান করেছেন ২৮.৪৭ গড়ে। স্ট্রাইক রেট ৭৯.১০। তার ব্যাটিং আধুনিক ক্রিকেটে একেবারে যুৎসই হলেও রানের দিক থেকে পিছিয়ে আছেন। শীর্ষে থাকা তামিমের চেয়ে এক ইনিংস কম খেলে ১২৮ রান কম করেছেন। ২টি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি তার নামের পাশে।
সাকিব আল হাসান ছিলেন দারুণ। ৩৬.৪১ গড়ে সাকিবের রান ছিল ৬১৯। ২০ ইনিংসে এ রান করেছেন সাকিব। তার স্ট্রাইক রেট ছিল সবচেয়ে বেশি ৮০.২৮। শুরুর দিকে তিনে ব্যাটিং করলেও সাকিবের ঠিকানা এখন চার নম্বরে। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আসার পর নতুন ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে।
১৯ ইনিংসে ৪০.২১ গড় ও ৭৬.৫৯ স্ট্রাইক রেটে ৫৬৩ রান করেছেন দলের বাইরে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্রামে পাঠানোর কথা বলে তাকে দলের বাইরে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সামনে সুযোগ পেলে বিশ্বকাপ খেলার দুয়ার খুলে যাবে তার।
বোলিংয়ে সাকিব আল হাসান সবার শীর্ষে রয়েছেন। ১৯ ইনিংসে ৩১ উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। বোলিং গড় ছিল ২৪.০৪। ইকোনমি ৪.১৮। সাকিবের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলা মেহেদী হাসান মিরাজ ২২ ইনিংসে পেয়েছেন ৩০ উইকেট। বোলিং গড় ও ইকোনমি একেবারে খারাপ না। ২৫.৪৩ ও ইকোনমি ৪.৩৩।
২০ ইনিংসে ২৭ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান আছেন তিন নম্বরে। সুপার লিগের শেষ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে সফলভাবে মিশন শেষ করা এ পেসার দুয়েক ম্যাচে সাইডবেঞ্চেও বসে ছিলেন। তার বোলিং গড় ছিল ২৮.১৪, ইকোনমি ৪.৯২। মাত্র ১৮ ম্যাচ খেলে ২৬ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া ১২ ম্যাচে ১৬ উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
এছাড়া নিয়মিত না খেলেও কয়েক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে নিজেদের ভালোভাবে মেলে ধরেছেন বেশ কজন খেলোয়াড়। হাসান মাহমুদ ৬ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন ভালোভাবে। ব্যাটিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ ইনিংসে ৩৪৫ রান করেছেন। তৌহিদ হৃদয় ৩ ইনিংসে ১০৮ রান করে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন।