ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় গত সপ্তাহে স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সিরিয়া থেকে তুরস্কের ভেতর রকেট হামলা ও রাজধানী ইস্তাম্বুলে বোমা বিস্ফোরণের পর এরদোয়ানের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ সোমবার (২৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিরিয়ায় স্থল অভিযান চালাতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তুরস্কের সেনারা। এখন নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন তারা। এছাড়া তার্কিস সেনাদের সহযোগিতায় সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এসএনএ তার্কিস সেনাদের সঙ্গে স্থল অভিযানে সরাসরি যোগ দেবে। পিকেকে এবং ওয়াইপিজের মতো কুর্দি সশস্ত্র দলগুলোকে হটিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ অভিযান চালাবে তুরস্ক।
ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তুরস্কের সেনাদের প্রধান লক্ষ্য হলো মেনাঘ বিমান ঘাঁটি। আলেপ্পোর উত্তর দিকে অবস্থিত এ ঘাঁটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া মারানজ এবং তাল রিফাতও তাদের লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে জঙ্গি গোষ্ঠী পিকেকের নিয়ন্ত্রণে আছে মেনাঘ গ্রামে অবস্থিত এ ঘাঁটি। ওই বছর রাশিয়ার বিমান বাহিনীর সহায়তায় এটি দখল করে তারা। যদিও এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে।
মেনাঘে গত কয়েকদিন ধরে বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে তুরস্কের সমর্থিত বাহিনীর সদস্যরা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মেনাঘে ২ হাজার বেসামরিক মানুষের বসবাস ছিল। কিন্তু এখন গ্রামটিতে কেউ বাস করেন না। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মেনাঘের এ বিমান ঘাঁটি প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহার করা হত। তবে এখন রানওয়েসহ প্রায় সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে।
তুরস্কের দাবি তাল রিফাত, মারানজ এবং মেনাঘ ঘাঁটি ব্যবহার করে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে পিকেকে ও ওয়াইপেজির মতো জঙ্গি দলগুলো। আর নিজেদের সীমান্ত নিরাপদ রাখতেই সিরিয়ায় অভিযান চালানোর কথা বলছে তারা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত সপ্তাহে জানান, বর্তমানে তারা সিরিয়া এবং ইরাকে যেসব বিমান হামলা চালাচ্ছেন এগুলো অভিযানের শুরু মাত্র। যখনই স্থল অভিযান চালানোর প্রয়োজনীয়তা মনে করবেন তারা তখনই অভিযান শুরু হবে।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ