কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি চেয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দুইদিনের মধ্যে যদি তাদের সবার জামিন না হয়, আমরা হাজার দশেক লোক হাইকোর্ট ঘেরাও করে থাকব। তাদের মুক্তি না হলে হাইকোর্টে ঈদের জামাত হবে না। আমরাই ওইখানে মাঠ দখল করে বসে থাকব।
রোববার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘হয়রানিমূলক মামলায় রাজবন্দি ও ধর্মীয় নেতাদের দীর্ঘ কারাবাস : নাগরিক সমাজের উদ্বেগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণ মতামত কেন্দ্র এ সভার আয়োজন করে।
সরকারের উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজ আমাদের একটা মাত্র দাবি— দুদিনের মধ্যে সব আলেম, সব রাজনৈতিক কর্মী ইনক্লুডিং খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। হাজি সেলিমকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু দেখতে দিতে পারেন না।
খালেদা জিয়াকে পূর্ণিমার রাতে পদ্মা সেতু দেখাতে চান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, চিন্তা করেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) গাড়ি সামনে, পরে খালেদা জিয়ার গাড়ি। এখনো সময় আছে, অন্যদিকে পয়সা খরচ না করে এক পূর্ণিমার রাতে চলেন না যাই! এইটাই হবে বাংলাদেশ। তার আগে তাকে মুক্তি দিতে হবে।
আসন্ন বাজেটে কৃষক-শ্রমিকদের কথা উল্লেখ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাজেট বুঝতে হলে আপনাকে ১৩শ পৃষ্টা পড়তে হবে। কয়জনে বই পড়েছেন জানি না, এমপিরা কী করেছেন জানি না। আমাদের বাজেট হচ্ছে চাণক্য পণ্ডিতের চালাকি। খালি চারদিকে প্যাঁচ আর প্যাঁচ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, ১০ তারিখ কি আমরা ঈদ করতে পারবো? কিছু লোক করবে। কিন্তু বেশিরভাগ লোক আগের হাসি হাসবে না। আমার বাচ্চাটার জন্য কাপড় কিনতে পারব না, সেমাই বানাতে পারব না, মাংস পাবো না। এখন তো ভাগের মাংসও পাওয়া যায় না।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, আমরা সবাই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই বলে আমাদের এখানে ভারতের মতো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয় না। এর কৃতিত্ব বাংলাদেশের মানুষের। আওয়ামী লীগের নয়।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি তার বক্তব্যে আলেমদের মুক্তির দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ।