12 July 2025

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

ব্যবসায়ীকে হত্যা: মৌলভীবাজারে সাত আসামীর যাবজ্জীবন

Share

স্টাফ রিপোর্টার::



মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ী লক্ষণ পাল’কে হত্যার দায়ে সাত আসামী’র যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ দিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। মৌলভীবাজার জেলা সিনিয়র দায়রা জজ মো: খাদেম উল কায়েস ২৬ ফেব্রæয়ারী এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন রিয়াদ মিয়া, রবীন্দ্র দেব, জয়নাল আবেদীন, ইকরাম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, জালাল মিয়া ও মাসুদ আহমদ। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের বাড়ি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায়। পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ রায় প্রদান করা হয়।
নিহত লক্ষণ পাল হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মনোরঞ্জন পালের ছেলে। ব্যবসার জন্য স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে শ্রীমঙ্গলে থাকতেন
আদালতে রায় প্রদানকালে আসামী রিয়াদ মিয়া ও রবেন্দ্র দেব উপস্থিত ছিলেন। আদালত তাদের দুইজনকে সাজা পরোয়ানা মূলে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পলাতক ৫জন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। রায় প্রদানকালে রিয়াদ মিয়া কারাগারে ও রবেন্দ্র দেব জামিনে ছিলেন।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের সেন্ট্রাল রোডস্থ শাহাদাত আলী মার্কেটের মা ভেরাইটিজ স্টোরের মালিক লক্ষণ পাল পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ২০২১ সালের ১২ মার্চ রাজনগর উপজেলার মোকামবাজার ও আজাদেরবাজারে যান। পাওনা টাকা আদায় করে শ্রীমঙ্গল ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে লক্ষণ পাল’কে আসামীরা হত্যা করে। ১৩ মার্চ রাতে রাজনগর-কর্ণিগ্রাম রাস্তার মধ্যখানে সিএনজি চালক একটি লাশ দেখতে পেয়ে রাজনগর থানা পুলিশকে খবর দিলে লক্ষণ পালের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরবর্তীতে লক্ষণ পালের স্ত্রী পূর্ণিমা রানী পাল শিমুল ও ভাই স্বপন রাজনগর থানায় এসে লাশ সনাক্ত করেন। ঘটনা পরেরদিন নিহত লক্ষণ পালের বড় ভাই স্বপন পাল এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিয়াদ মিয়া ও রবেন্দ্র দেব’কে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে অন্যান্য আসামীদের সনাক্ত করেন।
বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন মৌলভীবাজার দায়রা জজ আদালতের পিপি মো: আব্দুল মতিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা বর্তমান সরকারের একটা সফলতা। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ সানোয়ার হোসেন।