12 July 2025

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

রংপুরে নারীর মাথা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক::

রংপুরের পীরগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের শিকার দেলোয়ারা বেগমের (৩০) বিচ্ছিন্ন মাথা ও পাঁচ বছরের কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বড় বদনাপাড়া গ্রাম থেকে মাটি খুঁড়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ এলাকা থেকে দেলোয়ারার খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আতিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেলোয়ারা বেগমের খণ্ডিত মাথা ও পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানের মরদেহ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের পাশে মরিচক্ষেত থেকে মাথাহীন অজ্ঞাতনামা ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ নিশ্চিত হয় হত্যার শিকার দেলোয়ারা বেগম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা। তার বিয়ে হয়েছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। পরবর্তী সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়েছে। দোলোয়ারার সঙ্গে পীরগঞ্জের বড় বদনাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক ছিল। তারা দুজন গ্রামগঞ্জে গান-বাজনা করে বেড়াতেন।

এ ঘটনায় পুলিশ আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় তার দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ এলাকা থেকে দেলোয়ারা বেগমের খণ্ডিত মাথা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়। এরপর দেলোয়ারা বেগমের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী পুলিশকে জানান যে তার সঙ্গে পাঁচ বছরের কন্যাশিশু সায়মাও ছিল।

পুলিশ ঘাতক আতিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় আতিকুলের বাড়ির পেছন থেকে গাছ বাগানে ভেতর পুঁতে রাখা গর্ত থেকে শিশু সাইমার মরদেহ উদ্ধার করে।

রংপুর জেলা পুলিশ সুপার আবু সাইম বলেন, নিহত দেলোয়ারা বেগমের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী পুলিশকে জানান তার সঙ্গে পাঁচ বছরের কন্যাশিশু ছিল। এরপর গ্রেপ্তার আতিকুলকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারেন দেড় মাস আগে ওই নারীর শিশু সাইমাকে হত্যার পর লুঙ্গিতে পেঁচিয়ে বাড়ির পাশে গাছ বাগানে ৩ থেকে ৪ ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। পুলিশ টিম নিয়ে সেখানে যান। মাটি খুঁড়ে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ১০টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার আতিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওই নারীর কেটে নেওয়া মাথা, একটি ব্যাগ ও বক্স উদ্ধার করা হয়েছে।