10 February 2025

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফ্রান্সে অবৈধ বসবাসে সহায়তা, ভারতীয়কে ৩০ মাসের কারাদণ্ড

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক::

ফ্রান্স-স্পেন সীমান্তে অবৈধ বসবাসে সহায়তা করার দায়ে এক ভারতীয় নাগরিককে সাজা দিয়েছে ফ্রান্সের বায়োন শহরের আদালত। মানবপাচারের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৩০ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

গত ১৬ জানুয়ারি ফ্রান্স-স্পেন সীমান্তের হেন্দায় শহর থেকে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছিল। ওই সময় ৯ সিটের একটি গাড়িতে অভিবাসীদের সীমান্তে পাচার করছিলেন বলে জানিয়েছে ফরাসি পুলিশ।

মোট ১৬ জন অনিয়মিত অভিবাসী নিয়ে একটি গাড়ি সীমান্তের বিরিয়াতো চেক পোস্টের পাশে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। মূলত গাড়িটির চালকের ভূমিকায় ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। ২৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মূলত পর্তুগালে বৈধ রেসিডেন্স পারমিট নিয়ে বসবাস করেন।

ফ্রান্সের বাস্ক অঞ্চলের বায়োনের আদালত জানিয়েছে, অবৈধ বসবাসে সহায়তা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পাশাপাশি অভিবাসীদের সম্ভাব্য মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলার কারণও আমলে নেওয়া হয়েছে।

গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের সবাই ভারতীয় এবং পাকিস্তানি নাগরিক। যাদের মধ্যে পাঁচজন ট্রাঙ্কের লাগেজের ওপর বসে ছিলেন এবং তিনজন অন্যান্য যাত্রীদের কোলে ছিলেন। তাদের কেউই সিট বেল্ট বাঁধতে পারেননি বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম ফ্রান্স ব্লু।

আদালতের শুনানিতে অভিযুক্ত বলেন, অসুস্থ মা এবং প্রতিবন্ধী বাবাকে সাহায্য করার জন্য তার অর্থের প্রয়োজন ছিল। তিনি আদালতকে আরও বলেন, পর্তুগালের একজন ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি অভিবাসীদের পরিবহনের তার নির্দেশ পেয়েছিলেন।

ফ্রান্স-স্পেন সীমান্ত অতিক্রমকারী হাইওয়েগুলো প্রায়শই মানব পাচারকারী নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহার করে থাকে। ফ্রান্স ব্লু-এর মতে, পর্তুগালে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের ফ্রান্সে পরিবহনকারী ভারতীয় এবং পাকিস্তানি পাচারকারীদের নেটওয়ার্কগুলোর কার্যক্রম সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অবৈধ অভিবাসী পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত ফরাসি দপ্তর (অল্টিম)-এর পুলিশ সদস্যরা এ অঞ্চলে পাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে স্পেনের লেরিদা থেকে ফ্রান্সের তুলুজ শহরে শত শত অনিয়মিত অভিবাসীকে অবৈধভাবে পরিবহনের অভিযোগে নয় আলজেরীয়কে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

২০২৩ সালের মার্চ মাসে আরেকজন চোরাকারবারিকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ফরাসি অঞ্চল থেকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তিনি ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ফ্রাঙ্কো-স্প্যানিশ সীমান্তে ২৪৭ জন অভিবাসীকে বেআইনি উপায়ে সীমান্ত পারাপারের ব্যবস্থা করেছিলেন। ইনফোমাইগ্রেন্টস।