ফটোনিউজবিডি ডেস্ক::
টানা জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করতে না পারার মাশুল গুণতে হয়েছে ৫ উইকেটের হার দিয়ে।
প্রথম ওয়ানডেতে ২৯৪ রানের পুঁজি গড়েও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি সফরকারীরা। ১৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। ওইদিন ব্যাটিং অর্ডারের চারে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংসটা খেলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০১ বল খরচায় এই রান করেন তিনি। যদিও হারের পর কাঠগড়ায় মিরাজের টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং।
তিন ম্যাচ সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই টিম টাইগার্সের। সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম ম্যাচে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগাদের টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডের ইতি ঘটেছে। এ ছাড়া টানা চারটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটাও হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ।
২০১৬ সাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। এ সময় ঘরের মাঠে দু’টি এবং ক্যারিবীয় সফরে দু’টি সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। রেকর্ড ধরে রাখতে ও সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলছেন, ‘আমাদের কাছে এখনও সুযোগ আছে কারণ আমরা একটিমাত্র ম্যাচ হেরেছি এবং আমরা যদি পরের ম্যাচে জিততে পারি তাহলে আমাদের সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি এবং ভালো সংগ্রহ পেয়েছিলাম। আমাদের বোলাররাও ভালো শুরু করেছিল। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে ভালো বোলিং হয়নি। তারা জুটি গড়ায়, আমরা উইকেট পাইনি। মাঝের ওভারে জুটি আমাদের হারের মুখে ছিটকে দেয়।’
তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে শেরফানে রাদারফোর্ডের সেঞ্চুরিতে ১৪ বল বাকি রেখে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রাদারফোর্ড ৮০ বলে ১১৩ ও অধিনায়ক শাই হোপ ৮৬ রান করেন।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশ যে সংগ্রহ পেয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ৭৪ রানের ইনিংস খেলতে ১০১ বল খেলেছেন মিরাজ। তার ধীরলয়ের ইনিংস নিয়ে সমালোচনা আছে। মিরাজ অবশ্য ২৯৪ রানের দলীয় স্কোরে সন্তুষ্ঠ। তার মতে রাদারফোর্ড এবং হোপের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে মাঝের ওভারে ভালো বল করতে পারেনি বোলাররা।
মিরাজ বলেন, ‘আমাদের স্কোর নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। এই ধরনের উইকেটে ২৯৪ রান খুব ভালো স্কোর। কৃতিত্ব দিতেই হবে তাদের, বিশেষ করে হোপ ও রাদারফোর্ডকে। ভালো জুটি গড়েছে তারা। আমাদের বোলারদের জন্য কঠিন দিন ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে, কিন্তু তারপরও উইকেট ভালো দেখাচ্ছিল এবং তারা ভালো খেলেছে। আমরা এখান থেকে অনেক কিছু থেকে শিখবো। আমরা কিছু ভুল করেছি। পরের ম্যাচে কিভাবে আরও ভাল করা যায় সেদিকে মনোনিবেশ করবো। এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি আছে, আমি মনে করি আমাদের ভালো করার সুযোগ আছে।’
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৪৫টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ। এরমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ২২টিতে ও বাংলাদেশের জয় ২১টিতে। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।