ফটোনিউজবিডি ডেস্ক::
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় খুন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার চার আসামিকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে রিপন দাস পাঁচদিন এবং বিশাল দাস, আমান দাস ও রাজিব ভট্টাচার্যকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালত এসব আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসামিদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত রিপন দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই আসামির নাম এজাহারে উল্লেখ ছিল না। তার নাম তদন্তে প্রকাশিত হয়েছে। তাকে আগেও ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
তারপর পুনরায় আজ (মঙ্গলবার) তাকে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদন করেন। এ ছাড়া, বাকি তিনজন এজাহারভুক্ত আসামি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সম্মিলিত সনাতন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ শুরু করে তার অনুসারীরা। এ সময় চিন্ময়ের প্রিজন ভ্যান আটকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ছুড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আশপাশের এলাকায়। ওই সময় রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলির ভেতরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিনের ঘটনায় আরও ৫টি মামলা কোতোয়ালি থানায় রুজু হয়। হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দনকে গত ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ৬ ডিসেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়।
এ দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তী সময়ে ৯ ডিসেম্বর চন্দন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।