স্টাফ রিপোর্টার::
ইসকনের বাঁধায় তিন দিন ধরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি ও রপ্তানিসহ সকল বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এর আগে বুধবার বিকেল থেকে ভারতের কৈলাশহরে ইসকন সদস্যরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় দুইদেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারও চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোন মালবাহি গাড়ি চলাচল করতে পারেনি।
চাতলাপুর এলসি স্টেশনের ব্যবসায়ী জারা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রুবেল আহমদ শুক্রবার দুপুরে জানান, বুধবার থেকে আমদানি এবং রফতানি বন্ধ রয়েছে। আমার ৬ গাড়ি মাছ শুল্ক স্টেশনে রয়েছে ভারতে রপ্তানির অপেক্ষায়। ভারতের স্থল বন্দরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি তারা কোন সুরাহা করতে পারেননি। ইসকন সেখানে বাধা সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, মাছ, পাথর ও প্লাস্টিক আইটেম তিনি ভারতে রপ্তানি করেন। বর্তমানে মাছের গাড়ি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় আছি। কর্মকর্তারা বলছেন সীমান্তের ঝামেলা শেষ করে অপারে মাল নিয়ে যাবার পর ইসকন যদি সেগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় তাহলে এই রিস্ক কে নিবে। এজন্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
চাতলাপুর এলসি স্টেশনের ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী সোহেল রানা চৌধুরী জানান, বুধবার হঠাৎ করেই ভারতের দিকে ইসকন সদস্যরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এবং তারা বিক্ষোভ করে তাদের পাতাকা বেঁধে দেন। এতে করে বাংলাদেশ থেকে মালবাহি গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসাথে ভারত থেকেও কোন মালামাল আসছেনা।
তিনি জানান, আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম। প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল আটকে যায়। ভারতে অনেক মাছসহ কাঁচা পণ্য পাঠানো হতো কিন্তু হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছি। তবে আমরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, তারা দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করছেন।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান শুক্রবার দুপুরে জানান, এখনও আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে ইসকনের বাঁধায়। আমরা যোগাযোগ করেছি। কিন্তু এখনও তারা কিছু জানায়নি।
সিলেট কাস্টমস বিভাগের উপ কমিশনার মমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ প্রান্তে কোন সমস্যা না। ভারতের অংশের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
