ফটোনিউজবিডি ডেস্ক::
নিলামের তালিকায় থাকা আনক্যাপড (অনভিষিক্ত) খেলোয়াড়দেরও একইভাবে ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ডাকা হবে। পরে ৫৭৪ জনের নিলাম শেষ হলে দলগুলো অবিক্রীত খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের একটা তালিকা দেবে। সেই তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের আবার নিলামে তোলা হবে।
কোন দলের হাতে কত টাকা আছে
প্রতিটি দল সর্বোচ্চ ১২০ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ করতে পারবে। তবে মেগা নিলামে তাদের হাতে সেই পুরো অর্থ থাকছে না। কারণ ইতোমধ্যে রিটেনশনের মাধ্যমে ১০টি দল ৪৬ জন ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে। ফলে বাকি থাকা অর্থই কেবল তারা নিলামে খরচ করার সুযোগ পাচ্ছে। রিটেনশনে সর্বনিম্ন দুজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখা পাঞ্জাব কিংসের হাতেই স্বাভাবিকভাবে বেশি (১১০.৫ কোটি রুপি) টাকা রয়েছে।
এ ছাড়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হাতে ৮৩ কোটি রুপি, দিল্লি ক্যাপিটালসের ৭৩ কোটি, গুজরাট টাইটান্সের ৬৯ কোটি, লখনৌ সুপার জায়ান্টসের ৬৯ কোটি, চেন্নাই সুপার কিংসের ৫৫ কোটি, কলকাতা নাইট রাইডার্স ৫১ কোটি, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ৪৫ কোটি, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ৪৫ এবং সবচেয়ে কম ৪১ কোটি রুপি রয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের হাতে।
নিলামের আগেই দল পেলেন যেসব ক্রিকেটার
কলকাতা নাইট রাইডার্স : রিংকু সিং (১৩ কোটি), বরুণ চক্রবর্তী (১২ কোটি), সুনীল নারিন (১২ কোটি), আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), হার্ষিত রানা (৪ কোটি), রমনদীপ সিং (৪ কোটি)।
রাজস্থান রয়্যালস : সঞ্জু স্যামসন (১৮ কোটি), যশস্বী জয়সওয়াল (১৮ কোটি), রিয়ান পরাগ (১৪ কোটি), ধ্রুব জুরেল (১৪ কোটি), শিমরন হেটমায়ার (১১ কোটি), সন্দীপ শর্মা (৪ কোটি)।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ : প্যাট কামিন্স (১৮ কোটি), অভিষেক শর্মা (১৪ কোটি), নীতিশ কুমার রেড্ডি (৬ কোটি), হেইনরিখ ক্লাসেন (২৩ কোটি), ট্রাভিস হেড (১৪ কোটি)।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স : জাসপ্রীত বুমরাহ (১৮ কোটি), সূর্যকুমার যাদব (১৬.৩৫), হার্দিক পান্ডিয়া (১৬.৩৫), রোহিত শর্মা (১৬.৩০), তিলক ভার্মা (৮ কোটি)।
চেন্নাই সুপার কিংস : রুতুরাজ গায়কোয়াড় (১৮ কোটি), মাথিশা পাথিরানা (১৩ কোটি), শিবাম দুবে (১২ কোটি), রবীন্দ্র জাদেজা (১৮ কোটি), মহেন্দ্র সিং ধোনি (৪ কোটি)।
গুজরাট টাইটান্স : রশিদ খান (১৮ কোটি), শুভমান গিল (১৬.৫ কোটি), সাই সুদর্শন (৮.৫ কোটি), রাহুল তেওয়াতিয়া (৪ কোটি), শাহরুখ খান (৪ কোটি)।
লখনৌ সুপার জায়ান্টস : নিকোলাস পুরান (২১ কোটি), রবি বিষ্ণয় (১১ কোটি), মায়াঙ্ক যাদব (১১ কোটি), মহসিন খান (৪ কোটি), আয়ুশ বাদোনি (৪ কোটি)।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু : বিরাট কোহলি (২১ কোটি), রজত পাতিদার (১১ কোটি), যশ দয়াল (৫ কোটি)।
দিল্লি ক্যাপিটালস : অক্ষর প্যাটেল (১৬.৫ কোটি), কুলদীপ যাদব (১৩.২৫ কোটি), ট্রিস্টান স্টাবস (১০ কোটি), অভিষেক পোরেল (৪ কোটি)।
পাঞ্জাব কিংস : শশাঙ্ক সিং (৫.৫ কোটি), প্রভসিমরান সিং (৪ কোটি)।
রাইট টু ম্যাচ কার্ড বা আরটিএম কী এবং এর ব্যবহার
রিটেনশনে পুরোনো স্কোয়াড থেকে সর্বোচ্চ ৬ জনকে রাখতে পেরেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এই ৬ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ জন এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা (ক্যাপড), সর্বোচ্চ ২ জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা (আনক্যাপড) খেলোয়াড়। এই ছয়জন খেলোয়াড়কে ধরে রাখার পদ্ধতি দুটি। একটি হচ্ছে নিলামের আগে সরাসরি চুক্তি করা। আরেকটি রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) কার্ড ব্যবহার করা।
আরটিএম কার্ড ব্যবহার করা যাবে নিলামে। পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে দেওয়ার পর কোনো খেলোয়াড় নিলামে গেলে তাকে বিভিন্ন দল বিড করে। বিডিং শেষ হওয়ার পর পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে তারা এই খেলোয়াড়ের জন্য আরটিএম কার্ড ব্যবহার করতে চায় কি না। সেই দল চাইলে তখন নিলামে যত সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল, একই দামে ওই খেলোয়াড়কে কিনে নিতে পারবে।