21 November 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

মামলা বাণিজ্য, মৌলভীবাজারে দুই কর্মীকে অব্যাহতি

Share

স্টাফ রিপোর্টার::

মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৌলভীবাজারে ছাত্র আন্দোলনের দুই কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলা। 

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলার সাবেক সমন্বয়ক ছাত্র প্রতিনিধি সুমন ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান জেলা শাখার প্যাডে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুইজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  আরেকজনের বিরুদ্ধে  অভিযোগ উঠায়  সকল কার্যক্রম থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজার এর সক্রিয় কর্মী মীর নিজাম আহমদ ও শেখ সাব্বির আহমদের বিরুদ্ধে মামলা বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে তাই আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজার এর অন্যতম প্রতিনিধি তানজিয়া শিশিরে’র বিরুদ্ধে মামলা বানিজ্যে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ উঠায় উনাকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হলো এবং তার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারো কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজার এর যেকোনো প্রতিনিধির বিপক্ষে সুস্পষ্ট অভিযোগ (তথ্যপ্রমাণ সহ) থাকলে, তাদেরকে দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।

মৌলভীবাজার জেলার ছাত্র প্রতিনিধি সুমন ভূইয়া জানান, মৌলভীবাজার জেলায় আমাদের বর্তমানে কোন কমিটি নেই।  বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন কমিটি আনঅফিসিয়ালি প্রকাশিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় এখন অনেকেই দেন। আমাদের অনেক সমন্বয়ক বা কর্মী মামলা করেছেন। কিন্তু দেখা গেলো, মামলাকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য হচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়ায় দুই কর্মীর মামলা বাণিজ্যের ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। তাই আমাদের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে মীর নিজাম আহমদ ও শেখ সাব্বির আহমদের মুঠোফোনে কল করলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। 

উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার মডেল থানায় সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মীর শামীমের ছেলে মীর নিজাম আহমেদ বাদী হয়েছে ৭৩জনের নাম উল্লখ্যসহ অজ্ঞাত দুইশতাধিকজনকে বাদি করে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ উঠে মামলার ব্যক্তিগত শত্রুতা ও নিরাপরাধ অনেকে বিবাদী করা হয়েছে। এরপরই গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মীর নিজাম আহমেদের অর্থ আদায়ের ভিডিও দেখা যায়। এরপরই ব্যবস্থা নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।