21 November 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্সিপাল গ্রেপ্তার

Share

স্টাফ রিপোর্টার::

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের জামিয়া আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষিকাকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মাওলানা আলতাফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, মৌলভীবাজার শহরতলীর মোস্তফাপুর এলাকায় জামিয়া আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার ভোক্তভূগী ওই শিক্ষিকা ১ অক্টোবর মৌলভীবাজার মডেল থানায় মাওলানা আলতাফুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পুলিশ আলতাফুর রহমানকে গ্রেফতার করে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোক্তভুগি শিক্ষিকা ২০১৯ সাল থেকে গ্রেফতারকৃত মাওলানা আলতাফুর রহমানের মাদ্রাসায় চাকুরি করতেন। ২০২২ সালের ২০ মার্চ মাদ্রাসা বন্ধ দিলে শিক্ষার্থী ও অন্যান্য শিক্ষকরা বাড়িতে চলে যান। কিন্তু প্রিন্সিপাল আলতাফুর রহমান ওই শিক্ষিকাকে বাড়িতে যেতে দেননি। চাকুরিকালীন সময়ে নানাভাবে বলপ্রয়োগ, প্রভাব কাটিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসায় একা রেখে রাতে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে ওই শিক্ষিকা মাদ্রাসা থেকে চাকুরি ছেড়ে দেন। কিছু দিন পর ২০২২ সালের মে মাসে সামাজিকভাবে ওই শিক্ষিকার বিয়ে হয়। বিয়ের পরেও ধর্ষণের ভিডিও শিক্ষিকার স্বামীর মোবাইলে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে আলতাফুর রহমান প্রায় সময় শিক্ষিকার সাথে ফোনে কথা বলতেন। শিক্ষিকার স্বামী বিষয় গুলো বুঝে মৌলভীবাজার উলামা পরিষদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উলামা পরিষদ তদন্তপূর্বক ধর্ষণের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় মাওলানা আলতাফুর রহমানকে ৯ নভেম্বর ২০২৩ সালে উলামা পরিষদ থেকে বহিষ্কার ও কওমি অঙ্গণ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। উলামা পরিষদ অন্যান্য মাদ্রাসা, দপ্তর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সভার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা আলতাফুর রহমান’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।