03 October 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

জুলাই বিপ্লব ও  বিজয় উদযাপন উপলক্ষে কাওয়ালী সন্ধ্যা 

Share

স্টাফ রিপোর্টার::

 মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই বিপ্লব ২০২৪ পরবর্তী বিজয় উদযাপন উপলক্ষে কাওয়ালি ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জুড়ী উপজেলার শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এতে অংশ নেয় জলপ্রপাত শিল্পী গোষ্ঠী ও স্থানীয় শিল্পীরা।

বৃহস্পতিবার (১২সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। কাওয়ালি, দেশের গান, হামদ, নাত, একক কবিতা ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার মাধ্যমে মেতে ওঠে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

কাওয়ালী সন্ধ্যায় উপস্থিত থেকে উপভোগ করেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহি অফিসার বাবলু সূত্রধর, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল আলম খান, জায়ফরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা ও গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম।

ছোট্ট ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা মৌলভীবাজার জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, জুড়ী উপজেলার সাধারণ এই প্রথম উন্মুক্ত স্থানে কাওয়ালী অনুষ্ঠান শুনলো। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উৎসবের আয়োজন বিরাজ করছে। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এসেছেন। আমার মতো অনেক ফ্যামেলী ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে এসেছেন। সবার মধ্যে খুশির আবহ তৈরি হয়েছে। এইরকম আয়োজন কিছু দিন পর পর করা গেলে ছোট্ট বাচ্চারা আরও উদ্বুদ্ধ হবে।

স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জুড়ীনিউজ  টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ইমরানুল ইসলাম বলেন, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় জুড়ীর শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। আমরা আশা করব শীতের প্রথমদিকে তারা যাতে আরও বৃহৎ পরিসরে এরকম আয়োজন করে এবং স্বনামধন্য শিল্পীদের নিয়ে আসে।

ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জসিম বলেন, 

 কাওয়ালি অনুষ্ঠান দেখে আমরা উজ্জীবিত, রোমাঞ্চিত। নিজেকে মুক্ত অনুভব করছি। কিছু দিন আগেও মুক্ত মঞ্চে এরকম অনুষ্ঠান ভাবা কঠিন ছিল। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন করে স্বাধীন হয়েছি। নিজেদের শিকল থেকে মুক্ত মনে হচ্ছে। যা আমরা এই কাওয়ালী অনুষ্ঠান দেখে বুঝতে পারি।

অনুষ্ঠানের আয়োজক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তারেক মিয়া বলেন, বাঙালি মুসলিম কবিগণ অজস্র কবিতা ও গান রচনা করে গেছেন। আর কাওয়ালী মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। এই গানগুলো আমাদের সমাজ ও প্রাণকে জাগিয়ে তুলে। আজকের কাওয়ালী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা তারই বহিঃপ্রকাশ। যার মাধ্যমে মুসলিম কবিদের সৃষ্টিকে আমরা জাগিয়ে তুলব এবং বারবার আমরা উজ্জীবিত হব।