22 November 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সেই এপিবিএন সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখাল পুলিশ, কারাগারে প্রেরণ

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক::

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় টার্গেট করে গুলি চালানোর ঘটনায় শনাক্তের পর হেফাজতে নেওয়া অভিযুক্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্য মো. সুজন হোসেকনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে এপিবিএন-১৩ উত্তরা পূর্বের কনস্টেবল পদমর্যাদার ওই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে শাহবাগ থানা পুলিশ। আদালত আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে গ্রেপ্তার কনস্টেবল সুজনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি।

জিআর শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ফকির ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপর পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহান জানান, সুজনকে শাহবাগ থানার দায়ের করা ৯ নং হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে ডিবি পুলিশ।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় গুলি চালানোর চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রচারের পর অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করে ডিবি পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেদিন শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ, এতে মারা যান বেশ কয়েকজন। এ সময় তৎকালীন রমনা জোনের অতিরিক্ত-উপ পুলিশ কমিশনার আখতার হোসেনকে পাশে দাঁড়িয়ে থেকে নির্দেশ দিতে দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঐ এলাকার মানুষকে নিশানা করে গুলি করছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এর মধ্যে ক্লিয়ার একটি ফুটেজে এপিবিএন-১৩ সদস্য কনস্টেবল সুজনকে দেখা যায়।

শাহবাগ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম খান পুলক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৫ আগস্টে গুলিতে হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদ ইসমামুল হক নামে একজন নিহত হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও অনেককে অজ্ঞাত দেখিয়ে গত ২৫ আগস্ট বড় ভাই মোহাম্মদ মহিবুল হক বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় কনস্টেবল সুজন অভিযুক্ত। তাকে (সুজন) প্রথমে ডিবি পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছিল। পরে ডিবি পুলিশ শাহবাগ থানার ৯ নং হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে থানায় হস্তান্তর করে।

নিয়মানুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি ও নির্দেশনায় আজই তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।