13 November 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাজনীতিতে দেখতে চাননা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

পেশাদার ক্রিকেটাররা খেলোয়াড়ি জীবন শেষে রাজনীতিতে জড়িয়েছেন, এমন উদাহরণ অহরহ আছে। তবে জাতীয় দলে খেলার পাশাপাশি সংসদ সদস্য হয়েছেন এমন ক্রিকেটারে কিংবা রাজনীতিবিদের সংখ্যা বিরলই। সেই তালিকারই একজন সাকিব আল হাসান।

সাকিব তিন ফরম্যাটেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। খেলেন নিয়মিতই। একই সঙ্গে সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই গণ আন্দোলনের মুখে পতন হয়েছে সেই সরকারের।

এমন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সাকিবের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা দেখা দেয়। তবে আপাতত সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে রাজনীতির প্রভাব পড়ছে না। পাকিস্তান সিরিজের দলে আছেন তিনি। তারপরও প্রশ্ন উঠছে, জাতীয় দলে খেলার সময়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?

এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘রাজনীতির পাশাপাশি কেউ জাতীয় দলে থাকতে পারবে কিনা এটা নিয়ে কাল সোহান বলেছে… সোহান কাল যা বলেছে এটার সঙ্গে আমি একটা বার্তা যোগ করতে চাই, সংস্কার দুই জায়গাতেই হতে হবে। খেলোয়াড়ের জন্যে যেমন.. জাতীয় দলকে সেবা করার সময় তিনি যোগদান করতে পারবেন কি পারবেন না রাজনৈতিক দলে।’

‘পাশাপাশি যে রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার নিয়ে কথা চলছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার.. সেখানে একটা রাজনৈতিক দলেরও কী উচিত কোনো জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে তার রাজনৈতিক দলে নেয়া? তারা তো জনগণের জন্যই কাজ করে, দেশের জন্যেই ভাবে। এটা ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক না। আপনি শুধু একজন খেলোয়াড়কে দোষ দিতে পারেন না। এখানে রাজনৈতিক দলকেও দায়ভার নিতে হবে। ভবিষ্যতের ব্যাপারে আমি আমার চিন্তাভাবনা একটু শেয়ার করলাম।’-যোগ করেন তিনি।

প্রধান নির্বাচকের মতে, কোনও ক্রিকেটারের ওপর যথেষ্ট বিনিয়োগ করা হয়। এতো বিনিয়োগের পর যদি সেই ক্রিকেটার রাজনীতিতে নাম লেখান তাহলে দেশেরই ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে উপযুক্ত কোনও দিকনির্দেশনা প্রত্যাশা করেন তিনি।

লিপু আরও বলেন, ‘যদি খেলা থাকে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকে, তাহলে আপনি কোনটাকে প্রায়রিটি দেবেন। একটা স্পেসিফিক দিকনির্দেশনা যদি থাকে, তাহলে মনে হয় ভালো। তাহলে কোন খেলোয়াড় রাজনীতিতে যাওয়ার আগে চিন্তা করবেন তার প্রায়রিটি কোথায়। এই রাস্তাটা মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত। ইফ ইউ আর ন্যাশনাল অ্যাসেট, আপনাকে সে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক ইনভেস্টমেন্ট থাকে। তারপর খেলোয়াড় হিসেবে আপনার দেশকে যখন আরও অনেক কিছু দেওয়ার থাকে, তখন আপনি যদি কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেন…হ্যাঁ আপনি যদি আগে থেকেই বিল্ড আপ করে থাকেন, সেটা ভিন্ন কথা।’