ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
আগামী রোববারের মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার, গ্রেপ্তারদের মুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু ও বর্তমান সরকারকে শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার দায়ে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। দাবি মানা না হলে ওইদিন বিকেলে গণমিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হবে।
তিনি বলেন, রোববারের মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার করতে হবে, সব গ্রেপ্তারদের মুক্তি দিতে হবে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, বর্তমান সরকারকে শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার দায়ে পদত্যাগ করতে হবে। এই দাবিগুলো যদি রোববারের মধ্যে পূরণ না করা হয় তাহলে সে দিন বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে গণমিছিল শুরু হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সমাবেশে উপস্থিত মানুষের দাবি এখন একটাই, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে আনতে হবে।
সরকারের কাছে কোনো কিছু চাওয়ার নেই উল্লেখ করে আনু মোহাম্মদ বলেন, তবে অনেক বিচার বকেয়া রয়েছে। ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের’ বিচার করতে হবে। এখন প্রধান এজেন্ডা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর কীভাবে হবে, সেটা নিয়ে।
দ্রোহযাত্রায় অংশ নেন জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জা, শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, আসিফ নজরুল, সামিনা লুৎফা, লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।
দ্রোহযাত্রা শেষে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। তিনি বলেন, গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে, গ্রেপ্তার সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। ৪ জুলাইয়ের মধ্যে কারফিউ তুলে নিতে হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
রাগীব নাঈম বলেন, এসব দাবি পূরণ না হলে ওইদিন (রবিবার) বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে।
এদিকে গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ কয়েকটি দাবিতে ডাকা দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুরে প্রেসক্লাবে থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে বর্তমানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবস্থান করছে। এতে অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক, শ্রমিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সবার মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা।