স্টাফ রিপোর্টার::
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ঈদের দিন সোমবার ১৭ জুন ভোররাত থেকে জেলাজুড়ে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণ বুধবার পর্যন্ত চলছে। সঙ্গে নামে পাহাড়ি ঢল। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার ৭ উপজেলার ৫ পৌরসভাসহ ৪৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত জেলাজুড়ে ৪৭৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রাম ও এলাকার ২ লাখ ৮১ হাজার ৯২০ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত। এ ছাড়া ২০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫১৩টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। পানিবন্দি লোকদের উদ্ধারের লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া বন্যার্তদের জন্য ত্রাণও প্রস্তুত রয়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, জেলার সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। এরমধ্যে সদর, কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার ১৫১৩টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।