ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু। ত্রিপুরার রাজ্য সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ গিটে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় আয়োজিত সেই সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শেষ; স্থল বন্দররের (নির্মাণ) কাজও শেষের পথে। আমরা আশা করছি, আগস্টের মধ্যে বন্দরের কাজ সম্পূর্ণ হবে। তারপর সেপ্টেম্বর থেকে এই সেতু জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’
ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ১ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সঙ্গে ত্রিপুরার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সাব্রুমকে যুক্ত করেছে। ২০১৫ সালে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই বছর জুন মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ফেনী নদীর ওপর নির্মানাধীন এই সেতুটি চালু হলে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হবে ত্রিপুরার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সাব্রুম।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্যতম নিদর্শন এই সেতুটি সিঙ্গেল স্প্যানের ওপর কংক্রিটের একটি স্থাপনা। গাড়ি ও কার্গো পরিবহনের সহজ ও ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচলের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই নকশা করা হয়েছে সেতুটির।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের (এনএইচআইডিসিএল) সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু। এটি পুরোপুরি চালু হলে চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সরাসরি সেতু সংযোগ স্থাপিত হবে এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় সরাসরি পণ্য পরিবহন সম্ভব হবে।
কলকাতা ও চট্টগ্রামের মধ্যে দূরত্বও অনেকখানি হ্রাস করবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু। বর্তমানে কেবল সাগরপথে সংযোগ রয়েছে কলকাতার সঙ্গে চট্টগ্রামের। সেই পথ আবার গিয়েছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ের ভেতর দিয়ে।