ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাড়ি ফিরতে শুরু করছেন ঘরমুখো মানুষেরা। ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। তবে সকালের তুলনায় বিকেলে বেশকিছু ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন গেলে দেখা যায়, বাড়িফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে প্রতিটা প্ল্যাটফর্মে। স্টেশনে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিটি যাত্রীর টিকিট চেক করা হচ্ছে। অন্যদিকে টিকিট কাউন্টারে গেলে দেখা যায়, কমিউটার ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে অপেক্ষা করছেন অনেক যাত্রী। স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্যও আন্তঃনগর কাউন্টারের সামনে দেখা গেছে যাত্রীর লাইন।
চাপাইনবাবগঞ্জগামী যাত্রী সাব্বির আহমেদ বলেন, অনলাইনে বেশ কয়েকবার টিকিট কাটার চেষ্টা করেও কাটতে পারিনি, তাই এখন স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটছি।
ঈদযাত্রায় চাপ নেই, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ফাঁকা
আরেক যাত্রী আকরাম হোসেন যাবেন রাজশাহী। তিনি বলেন, ব্যস্ততার কারণে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারিনি, তাই এখন কাউন্টারে এসে টিকিট কিনছি।
যাত্রীরা জানাচ্ছেন, টিকিট ক্রয় করতে কোনোরকম কালোবাজারি বা অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়নি।
বিলম্বে ছাড়ছে বেশকিছু ট্রেন
রাজশাহী কমিউটারের টিকিট কেটেছেন ইমরান আহমেদ। ট্রেনটির ছাড়ার সময় ১২টা ২০ মিনিট হলেও ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত তা প্ল্যাটফর্মে আসেনি। অবশেষে আড়াইটা নাগাদ তা প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায়।
ইমরান আহমেদ বলেন, ট্রেন যেন মিস না হয় তাই ১২টার দিকেই স্টেশনে এসেছি। তবে নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও ট্রেন আসেনি।
অন্যদিকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেসের ছাড়ার সময় ১টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু ৩টা পেরিয়ে গেলেও নির্ধারিত সময়ে প্ল্যাটফর্ম ছাড়েনি ট্রেনটি। পরে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে ছাড়ে।
চট্টলা এক্সপ্রেসের যাত্রী সোহানুর রহমান বলেন, টিকিট কেটে ঠিক সময়ে ট্রেনে চড়েছি, অথচ এখনো ট্রেন ছাড়ার কোনো খবর নেই। কখন ছাড়বে তারও নিশ্চয়তা নেই।
ভ্যাপসা গরমে কামরার মধ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন অনেকেই। বাচ্চাসহ ট্রেনে যাত্রা করছেন শারমিন আক্তার। তিনি বলেন, ট্রেন ছাড়ার কথা ১টা ৪৫ এ। ধরলাম ২টা বাজেই রওনা হবে। কিন্তু ৩টা পেরিয়ে গেলেও ট্রেন ছাড়ছে। গরমের মধ্যে বাচ্চারা কষ্ট পাচ্ছে।
চট্টলা এক্সপ্রেসের অ্যাটেনডেন্ট জানান, ইঞ্জিনের কারিগরি কাজের জন্য কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। ঠিক হলেই ট্রেন ছাড়া হবে।
যদিও মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস (১টা ১৫) ও বনলতা এক্সপ্রেস (১টা ৩০) সময়মতো প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ১৫ মিনিট দেরিতে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে রওনা হয়। অন্যদিকে নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ৪৫ মিনিট বিলম্বে ১২ টা ২৫ এ ছেড়ে যায়।
এদিকে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, সব ট্রেন সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কমিউটার, আন্তঃনগর মিলিয়ে ৩৫টি ট্রেন ছেড়ে গেছে এবং সবগুলোই সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে। আশা করছি যাত্রীরা নিরাপদেই বাড়ি ফিরতে পারবেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত আন্তঃনগর ও কমিউটার মিলে ১২টি ট্রেন স্টেশন ছেড়ে গেছে। লোকাল, কমিউটার ও আন্তঃনগর মিলে মোট ৬৯ জোড়া ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।