
বড়লেখা প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় হিবজুর রহমান (২৭) নামের এক যুবক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১২ মে) বিকেলে উপজেলার দাসের বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ লঘাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকজন যুবক হটাৎ করে লঘাটি গ্রামের একটি মন্দির ভাঙচুর করার চেষ্টা চালায়। এসময় স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন যুবকদের বাঁধা দেন। একপর্যায়ে ঐ যুবকরা স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলে ঘণ্টাব্যাপী। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হন। সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত হন হিবজুর রহমান নামের যুবক। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
লঘাটি গ্রামের মন্দিরের পুরোহিত শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ জানান, দুপুরের দিকে শতাধিক যুবক মন্দিরে হামলা চালায়। এসময় স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের বাঁধা দেন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। শুনেছি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমাদের মন্দিরের কমিটির একজন লোকের সাথে ঐ যুবকদের দ্বন্ধ হয়। পরে তারা এসে মন্দিরে হামলা চালায়। এঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে গুরুত্বর আহত হন হিবজুর রহমান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় হিবজুর রহমানের পিতা সইব আলী বাদী হয়ে ৯জনের নামোল্লেখ সহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সোমবার (১৩ মে) দুপুরে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, ১। আমিনুল ইসলাম, ২। জাহিদ হাসান, ৩। সুমিত দাস, ৪। সুভুদ দাস, ৫। অমিত নাথ, ৬। বিপ্লব কান্ত, ৭। ইমন দাস, ৮। রাহুল দাস ও ৯। দেব দাস।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। এই ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।