23 December 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

জুড়ীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ

Share

স্টাফ রিপোর্টার:

জুড়ী উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: আলী হোসেনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের সাবেক জুড়ী উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমান সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাছিরপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো: আলী হোসেন বলেন, কিশোর রায় চৌধুরী মনির গুন্ডা বাহিনী পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনফর আলীর ছেলে সাইদুর সহ গুন্ডারা আমার নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করতে আক্রমণ করে। উপজেলার সকল মানুষের কাছে আমার বিচার দিলাম। আপনারা আমার এই বিচার করবেন। আমার আর কিছু বলার নেই।

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো: আলী হোসেনের ছোট ভাই মো: আমীর বলেন, আমার ভাইকে সাইদুর রহমান, মুহিব এবং সুহেল আক্রমণ করে। এই ঘটনা ঘটিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলী। মূলত নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এই আক্রমণ করা হয়। আমরা তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবো। বর্তমানে আমি ভাইকে নিয়ে সিলেট যাচ্ছি।

মো: আলী হোসেন পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি ভিডিওতে দেখা যায় ঘটনার পর পরই হাসপাতালে মো: আলী হোসেনকে দেখতে যান কাপ-পিরিচের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি। সেখানে মো: আলী হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মনি বলেন, আমার কোন গুন্ডা বাহিনী নেই। আর গুন্ডা বাহিনী পালার মতো আমার ক্ষমতাও নেই।

অভিযোগের বিষয়ে কিশোর রায় চৌধুরী মনির সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাপস দাশ নামের একজন কল রিসিভ করে বলেন, তিনি গণসংযোগে আছেন। আমি দাদাকে পরে জানাবো আপনি কল দিয়েছেন।

পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলীর সাথে অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবেদক মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমরা বর্তমানে আইনগতভাবে যা যা করার সেটি করতেছি।

বিষয়টি সম্পর্কে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, আমরা থানায় মামলা করতে বলেছি। থানায় তো মামলা করতে হবে। মামলা হলে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।