ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
সংকীর্ণ রাস্তা প্রসারিত করতে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
গতকাল থেকে শুরু হয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এই এলাকায়। অভিযানে রাস্তার দুইপাশে থাকা ভবন, বাড়ি, দোকানপাট গুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার মুগদা ব্রিজের দিক থেকে মুগদা প্রধান সড়কের দিকে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রাজউক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছাড়াও বিপুল পরিমাণে পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত আছেন। এ ছাড়া এলাকাবাসী কর্তৃক সৃষ্টি হওয়া যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি রেখেছে সংশ্লিষ্টরা।
অভিযানের দ্বিতীয় দিনে মান্ডা ব্রিজ থেকে মুগদা প্রধান সড়ক পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের ভবন, বাড়ি, দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে। প্রথম দিনে এলাকাবাসী কিছুটা বাধা দিলেও, দ্বিতীয় দিনে এসে কোনোরকম বাধা ছাড়াই সব ভবন দোকান-পাট গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অভিযান প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অভিযান পরিচালনার টিমে থাকা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো আমাদের এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মুগদা প্রধান সড়ক পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে থাকা ভবন দোকান আমরা ভেঙে দিচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকাবাসী যানজটের কবলে পড়ে থাকতো, সংকীর্ণ রাস্তা হওয়ার কারণে দিনরাত সবসময়ই এই সড়কে যানজট দেখা যেত। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ অভিযান পরিচালনা করে প্রচুর পরিমাণে লোকের চলাচল করা এই রাস্তা প্রসারিত করা হবে।
অন্যদিকে ক্ষতিপূরণ ছাড়া দোকানগুলোর না ভাঙতে গত পরশু সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন এলাকাবাসী। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, মুগদা এলাকার প্রধান সড়কের দুই পাশের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে নিজস্ব জমিতে আমাদের পূর্বপুরুষরা এবং আমরা রাজউকের অনুমোদন নিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। মুগদার প্রধান সড়কটি সর্বশেষ ঢাকা সিটি জরিপ অনুযায়ী ৩০ ফুট প্রশস্ত। সম্প্রতি রাজউকের নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারি এ সড়ক এটি ৫০ ফুট বা ৬০ ফুট প্রশস্ত করা হবে। নকশা চেয়ে রাজউক থেকে আমাদের অনেককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকে নোটিশ পায়নি।
তারা বলছে, রাজউকের লোকজন জানিয়েছে, আমাদের জায়গাসহ বাড়িঘর শিগগিরই ভেঙে ফেলে সড়ক নির্মাণ করবে। কিন্তু তারা জমিগুলো এখনো আইনিভাবে অধিগ্রহণ করেনি। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের জমি কী পরিমাণ অধিগ্রহণ করা হবে তা-ও জানায়নি বা জমি বা জমির ওপর স্থাপিত বিল্ডিং বা বাড়ির ক্ষতিপূরণ কী দেওয়া হবে তা-ও জানায়নি। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। গতকাল (রোববার) থেকে সড়কের আশপাশের সব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে