নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের কলেজ ছাত্রী ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনির ভাতিজি সুবর্ণা রায় চৌধুরীর লাশ নিখোঁজের ৬দিন পর সিলেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ এপ্রিল) সকালে সিলেট শহরের আম্বরখানা এলাকার একটি হোটেলে গলায় রশি লাগানো মৃতদেহটি উদ্ধার করে সিলেট কতোয়ালী পুলিশ।
সুবর্ণার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে বাড়ি থেকে বের হয় সুর্বণা। বিকেলের দিকে সে বাড়িতে না গেলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে পায়নি পরিবার। এই ঘটনায় সুবর্ণার চাচা কিশোর রায় চৌধুরী বাদী হয়ে মেহেদী হাসান নামের একজনকে আসামী করে থানায় অপহরণ মামলা করেন। পুলিশ ও পরিবারসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে সুবর্ণার কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে জুড়ী থানা থেকে বলা হয় সিলেটের একটি হোটেলে সুবর্ণার দেহ গলায় রশি লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে তার লাশ দেখে নিশ্চিত হয়।
সুবর্ণার চাচা কিশোর রায় চৌধুরী জানান, আমার ভাতিজিকে ৬ দিন আগে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হোটেলে হত্যা করে গলায় রশি লাগিয়ে পালিয়ে গেছে হত্যাকারীরা। এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বিএনপি নেতা আবুল হাসানে ছেলে মেহেদী। এর আগেও আমার ভাতিজিকে হয়রানি করেছে। সে অপহরণ করে আমার ভাতিজিকে হত্যা করেছে।
তিনি জানান, এই ঘটনায় বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে জুড়ী থানায় বিএনপি নেতার ছেলে মেহেদী হাসানকে প্রধান করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন জানান, অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে সুবর্ণার চাচা বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ১ জনের নামোল্লেখসহ আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখনামীয় আসামীসহ বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।