ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবৈধ সরকারের লুটপাটের অর্থনীতির কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ ক্রমসম্প্রসারিত হচ্ছে। বাকস্বাধীনতা প্রয়োগের জন্য অনেক মানুষকে জুলুম ভোগ করতে হচ্ছে। সভা-সমাবেশ-মিছিল করার অধিকার আওয়ামী লীগ এখন এককভাবে ভোগ করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য হচ্ছে ক্ষমতায় এসেই গণতন্ত্রের লাশ ফেলে দেওয়া। অত্যাচার, লুটতরাজ সর্বক্ষেত্রেই বিদ্যমান। এরা ক্ষমতাসীন হয়ে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, হামলা, জেল, জুলুম ও দুঃশাসন চালিয়ে আসছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের মূল নীতিকে সমাধিস্থ করে এক সর্বগ্রাসী অত্যাচারী রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। বিশেষ করে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এবারের ঈদ সবচেয়ে নিরানন্দ ও বেদনাদায়ক।
তিনি বলেন, জবরদস্তিমূলক ক্ষমতা ধরে রেখে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী গত প্রায় ১৬ বছরে দেড় লাখের বেশি হয়রানিমূলক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ প্রায় ৫০ লাখের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করেছে। রাজনৈতিক আচরণের রীতি ও শালীনতাকে উপেক্ষা করে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সাবেক চারবারের প্রধানমন্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়েছে, এখনো তিনি মুক্ত নন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ডামি নির্বাচনের পর অনেককে জামিন দিলেও আবারও নতুন নতুন মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত কেউই এই গায়েবি মামলা ও সরকারি নির্যাতন—নিপীড়ন থেকে রেহাই পায়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিক, তাহসিনা রুশদির লোনা, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সহ দপ্তর মো. মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং প্রমুখ।