ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
যে কারণে আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি সেই কারণটি এখনো বলবৎ আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, এখনো গণতন্ত্র নাই, মানুষের মৌলিক অধিকার নাই, এখনো মানুষের বাক স্বাধীনতা নাই, এখনো গণমাধ্যমে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, এখনো মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যতদিন আমাদের আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র অর্জিত না হবে আমাদের লড়াই চলবে, লড়াই চলতে থাকবে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, লুটতরাজ লুণ্ঠনের মধ্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতি অর্থাৎ জাতির অর্থনীতির কোষাগার আজকে খালি হয়ে গেছে এবং আকাশচুম্বী জিনিসপত্রের দামে আজকে মানুষ দিশেহারা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মহান দিবসে এখানে এসেছি যার ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা হয়েছিল সেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পূর্ণ প্রবর্তক এবং যিনি আধুনিক বাংলাদেশ, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেছেন সেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে এবং তার আত্মার জন্য দোয়া করতে।
তিনি বলেন, একটি পর্যায় কাটিয়ে দেশের দিকে তাকিয়ে, এই স্বাধীনতার কথা চিন্তা করে আমরা সন্তান হারা মায়ের কান্না থামাতে পেরেছিলাম। আমাদের সেই দুঃখ-যন্ত্রণা আমরা সেদিন নিরসন করতে না পারলেও এই স্বাধীনতায় অত্যন্ত আপ্লুত ছিলাম এবং আমাদের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দ ছিল। সেটা ক্রমান্বয়ে আজকে ৫৩ বছর পর আমরা কি দেখছি? আমরা দেখছি যে, কারণে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি সেই কারণটি এখনো বলবৎ।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আবদুল মঈন খান জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করে শ্রদ্ধা জানান। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফরহাদ হালিম ডোনার, মাসুম আহমেদ তালুকদার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, রফিক শিকদার, এসএম জাহাঙ্গীর, রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মহানগর উত্তরের আমিনুল হক, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের মোনায়েম মুন্না, উলামা দলের নেছারুল হক, জাসাসের লিয়াকত আলী, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ।