ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
২০২৪ সালের প্রথম সিরিজটাই হারতে হলো বাংলাদেশকে। শুধু ২০২৪ সালের বিবেচনায় না, অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তর প্রথম সিরিজটাও ছিল লঙ্কানদের বিপক্ষেই। তবে নুয়ান তুশারার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিনে বাংলাদেশ সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। ১-১ সমতায় থাকা সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ২৮ রানের ব্যবধানে।
আর এই হারের পর অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসানের অপরাজিত থাকার রেকর্ডটাও ভাঙলেন শান্ত। ঘরের মাটিতে ৮০০ দিনের বেশি সময় সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসান মিলে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে একের পর এক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতিয়েছেন।
এমনকি দেশে এবং দেশের বাইরে মিলে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারতে হয়নি বাংলাদেশকে। সেই অপরাজিত থাকার রেকর্ডটাও ভেঙেছে নাজমুল হোসেন শান্তর অধীনে। ২০২৩ সাল ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ পুরোদমে অপরাজিত থাকার পর ২০২৪ সাল শুরু হলো টি-টোয়েন্টির হার দিয়েই।
ঘরের মাঠে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজের সবশেষ সিরিজ ড্র করেছিলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা। এরপরে ঘরের বাইরে দুই সিরিজ হারতে হয় বাংলাদেশকে। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপেও ছিল ব্যর্থতা। অধিনায়কত্ব হারান রিয়াদ।
মাঝে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। তাতে অবশ্য অধিনায়ক ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। তবে এই সিরিজ দিয়েই ঘরে-বাইরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টাইগারদের আধিপত্যের সূচনা হয়।
রিয়াদের পর নেতৃত্বে আসেন সাকিব আল হাসান। সেবার অবশ্য লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি খেলেনি বাংলাদেশ। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ বাংলাদেশ খেলে সাকিবের নেতৃত্বে। এরপরেই ২০২৩ সালের মার্চে বাংলাদেশে আসে টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। নিজেদের ডেরায় ইংলিশদের দর্পচূর্ণ করে সাকিবের দল। ৩-০ ব্যবধানে জয় করে সিরিজ।
এরপরেই আসে আয়ারল্যান্ড। ৩ ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ জয় করে ২-১ ব্যবধানে। সিরিজের শেষ ম্যাচে না হারলে পুরো বছরই ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অপরাজিত থাকতে পারত টাইগাররা। এরপরেই আফগানিস্তানকে বাংলাদেশ হারায় ২-০ ব্যবধানে।
এরপর আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা হয়নি বাংলাদেশের। চলে আসে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেললেও সেটি ড্র করে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়। টানা এই সফলতার ইতি ঘটলো শনিবার। সিলেটে নিজেদের মাঠেই ৮৩৮ দিন পর সিরিজ হার দেখতে হলো বাংলাদেশের।