ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাবে তারা। বুধবার (৬ মার্চ) এ ঘোষণা দিয়েছে হামাস।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, “আমাদের সাধারণ মানুষদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধের জন্য আমরা সর্বোচ্চ নমনীয়তা দেখাচ্ছি। তবে দখলদাররা চুক্তিটি আটকে রেখেছে। তবুও আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব।”
মিসরের রাজধানী কায়রোতে গত রোববার এ আলোচনা শুরু হয়। এতে দখলদার ইসরায়েল যোগ দেয়নি। ফলে মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসরের সঙ্গে একাই আলোচনা করছে হামাস।
পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে ৪০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছেন তারা। তবে ইসরায়েল এবং হামাসের পাল্টাপাল্টি শর্তের কারণে এটি এখনো আটকে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ইসরায়েল ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এখন এটি কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে হামাসের ওপর।
ইসরায়েল দাবি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে তাদের অন্তত ৪০ জিম্মির তালিকা দিতে হবে। যাদের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সময়ে ছাড়া হবে। তবে হামাস জানিয়েছে, তাদের পক্ষে এখন তালিকা তৈরি করা সম্ভব নয়। কারণ জিম্মিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলার কারণে তারা সেখানে পৌঁছাতে পারছে না।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেবে। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজায় বিপুল ত্রাণ পৌঁছানোর সুযোগ দেবে এবং তাদের কারাগারে অবৈধভাবে বন্দি থাকা ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেবে।
তবে হামাস জানিয়েছে, তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। যুদ্ধবিরতিটি স্থায়ী হতে হবে। যেন সাধারণ মানুষ তাদের নিজ বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারেন। এছাড়া গাজাকে পুনর্গঠনের দাবিও জানিয়েছে সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি।
সূত্র: রয়টার্স