22 November 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সাবেক যুবলীগ নেতা সম্রাটের কর ফাঁকির দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ফ্ল্যাট ক্রয় ও আয়কর ফাঁকি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক যুবলীগ নেতা মো. ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে আরও একটি অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

পুরোনো অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়ে নতুন কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়ায় কমিশন থেকে পৃথক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। চলতি মাসের শুরুতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখাকে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাখা কর্মকর্তা উপ-পরিচালক কামরুজ্জামানের সই করা এক চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে দুদকের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদকের মামলার তদন্তকালে জব্দ করা রেকর্ডপত্র, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আসামির বক্তব্য পর্যালোচনায় সম্রাটের অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সহোদর দুই ভাইয়ের নামে কাকরাইলে ৪ হাজার ২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয়ের তথ্য মিলেছে। এছাড়াও আয়কর নথির মাধ্যমে উৎসবিহীন ব্যবসার মূলধন প্রদর্শনসহ মোট তিন কোটি ৪০ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ টাকার সম্পদের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। এসব বিষয়সহ আরও কিছু অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে প্রায় ২২৩ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। তার বিচারকাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থপাচার মামলাও রয়েছে। এসব মামলায় তিনি আড়াই বছরের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। ২০২২ সালের আগস্টে এসব মামলায় জামিনে মুক্তি পান সম্রাট।