ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
নেপিয়ারের পেস স্বর্গে স্পিন দিয়ে ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। শান্তর এমন সিদ্ধান্তে কেউ কেউ হয়তো অবাকই হয়েছেন। তবে চতুর্থ বলে উইকেট শিকার করে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন মেহেদি। পরের ওভারে আক্রমণে এসে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন শরিফুল। তার গতি আর সুইংয়ে পুড়েছে কিউই টপ অর্ডার। টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে জিমি নিশাম ছাড়া আর কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেনি। তাতে দেড়শো রানও করতে পারেনি কিউইরা।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান এসেছে জিমি নিশামের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন শরিফুল ইসলাম।
তরুণ দল নিয়ে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। চতুর্থ বলে টিম সেইফার্টকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন শেখ মেহেদি। অফ স্টাম্পের ওপর খানিকটা খাটো লেন্থে সোজা বল করেছিলেন এই অফ স্পিনার, টার্নের আশায় খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেছেন সেইফার্ট।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে রীতিমতো আগুন ঝরান শরিফুল। ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেন্থ ডেলিভারী ছিল এই বাঁহাতি পেসারের। সেখানে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে সৌম্যের হাতে ধরা পড়েন ফিন অ্যালেন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১ রান।
পরের বলেও উইকেট পেয়েছেন শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের লেগ স্টাম্পের ওপর করা বল ভেতরের দিকে ঢোকার সময় ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস। ব্যাটে খেলতে পারেননি, বল আঘাত হানে তার প্যাডে। তবে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছেন আম্পায়ার। গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফিলিপস ফিরলে ১ রানেই ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
শুরুর ধাক্কা সামলে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যান। কিন্তু টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেননি মিচেলও। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন মেহেদি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৪ রান।
ইনিংসের দশম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন রিশাদ হোসেন। আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন এই লেগ স্পিনার। রিশাদের ফুল লেন্থের বলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ কভার পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন চ্যাপম্যান।
স্যান্টারকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটির পথে এগোচ্ছিলেন নিশাম। ১৫তম ওভারে স্যান্টনারকে ফিরিয়ে ৪১ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল। অবশ্য সেখানে বড় অবদান সৌম্যের। মিড উইকেটে সামনে দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। খালি চোখে আম্পায়ার বুঝতে পারেননি, আসলে কি ঘটেছে। এরপর থার্ড আম্পায়ার বেশ কয়েকবার দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন।
৯১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও কিউইদের আশার আল হয়ে এক প্রান্তে জ্বলছিলেন নিশাম। ৪৮ রানে তাকে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজ। নিশাম ফেরার পর রানের গতি কমেছে স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।