27 July 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৫জন

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলায় আরো কয়েকডজন মানুষ আহত হয়েছেন। রোববার ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি হামলায় শরণার্থী শিবিরে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে।

গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা জাবালিয়ার একটি ভবনে বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ভবনটির ছাদ থেকে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে। এর জবাবে সেখানে বিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াফা বলেছে, গাজা উপত্যকার সিভিল ডিফেন্স এবং অ্যাম্বুলেন্সের ক্রুরা ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ইসরায়েলি বোমা হামলায় সেখানে আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৯০ জন।

ফিলিস্তিনি এই সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ধসে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো অনেক ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছেন।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অপর এক হামলায় আরও অন্তত ১১ জন নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। একই দিন ইসরায়েল থেকে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।

ইসরায়েলি বাহিনীর দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। বিশেষ করে বিমান বাহিনীর নিয়মিত গোলা বর্ষণের কারণে উপত্যকার কোনো ভবনই অক্ষত নেই। ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা ১৯ হাজার ছুঁইছুঁই করছে।

এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৬ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন। তাদের মধ্যে শিশু, নারী, তরুণ-তরুণী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা— সব বয়সী মানুষ রয়েছেন। জিম্মিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বাকি ১৩২ জনের মধ্যে এখনও ১১২ জন জীবিত রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে।