ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নিরলসভাবে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। এতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ১৮ হাজার ফিলিস্তিনির। একইসঙ্গে ইসরায়েল হামলা করছে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতেও।
এই পরিস্থিতিতে গাজার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সরকারিভাবে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে লেবানন। ধর্মঘটে সব সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দেশটি এই ধর্মঘট পালন করছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাজা ও দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সোমবার দেশব্যাপী সব সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে লেবানন।
রোববার দেওয়া এক সরকারি বিবৃতিতে লেবাননের মন্ত্রিপরিষদের সেক্রেটারি-জেনারেল মাহমুদ মেকিয়া এই ধর্মঘটের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেছেন, গাজায় আমাদের সহকর্মীসহ লেবাননের সীমান্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোর নাগরিক এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি জানিয়ে ধর্মঘটের বৈশ্বিক আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি।
আনাদোলু বলছে, বৈরুত ইঞ্জিনিয়ার্স সিন্ডিকেট সোমবার দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে এর শাখা অফিসসহ লেবাননের রাজধানী বৈরুতে সংস্থাটির প্রধান সদর দপ্তর বন্ধ করার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।
সম্মিলিত এই পদক্ষেপগুলো সারা বিশ্বে স্ট্রাইক ফর গাজা (#StrikeForGaza) হ্যাশট্যাগের অধীনে ঐক্যবদ্ধভাবে আহ্বান করা হয়েছে। মূলত গাজার বাসিন্দাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে এবং ইসরায়েলি যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য পদক্ষেপ নিতে দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য সোমবার ব্যাপক পরিসরে বৈশ্বিক ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
মাঝে হামাসের সাথে এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজায় হামলা আরও তীব্র করেছে দখলদার সেনারা।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে সেখানে কমপক্ষে ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কমপক্ষে ৭ হাজার ১১২ জন শিশু এবং ৪ হাজার ৮৮৫ জন নারী।