ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ তৃতীয় মাসে পৌঁছানোর সাথে সাথে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক এখন গাজার খান ইউনিস শহরের কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। হামাসের সামরিক শাখার জেনারেল কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ ও শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বাসা রয়েছে এই শহরে। গত ৭ অক্টোবরের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হামাসের এই দুই নেতা বলে মনে করে ইসরায়েল।
উত্তর গাজায় তুমুল লড়াইয়ের মাঝে হামাসের আরেক শক্ত ঘাঁটি জাবালিয়া এবং গাজা নগরীর আশপাশের জায়তুন, শেজাইয়া, আল-দারাজ এবং আল-তুফাহ এলাকায় ঢুকছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এর মাধ্যমে হামাস-ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল স্তরে প্রবেশ করেছে। ট্যাঙ্কগুলো হামাসের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটির (খান ইউনিস, জাবালিয়া এবং শুজাইয়া) কাছে পৌঁছেছে।
অনেকের বিশ্বাস, সেখানে হামাসের সামরিক শক্তি বেশি এবং তারা তাদের শক্তিশালী ঘাঁটিতে ইসরায়েলি সেনাদের দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিক এখনও ওইসব এলাকায় বসবাস করছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় এসব এলাকায় বেসামরিক হতাহতের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বিবিসি বলছে, গাজায় ইতিমধ্যে মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সেখানে মানুষের জীবন চালিয়ে নেওয়ার মতো মৌলিক জিনিসপত্র বা পণ্যসামগ্রীও মিলছে না। গাজার লোকজন যে পানি পান করছেন তা বিশুদ্ধ নয়।
গাজার পাঁচ সন্তানের মা নাভেন হাসান বিবিসিকে বলেছেন, আমরা দিনে একবেলা খাবার খাই। আর এই খাবারে বেশিরভাগ সময়ই থাকে এক টুকরো ছোট রুটি এবং বোতলজাত মটরশুটি।
তিনি বলেন, ‘‘আমার ছয় মাস বয়সী সন্তানের জন্য দুধ খুঁজে পাচ্ছি না। আমার মেয়ে এবং ছেলেরা অসুস্থ। তারা অপরিষ্কার পাানি পান করছে। আমরা ঠান্ডা আবহাওয়ায় কোনও কম্বল খুঁজে পাচ্ছি না।’’
নাভেন হাসান বলেন, তাপমাত্রা তীব্র হ্রাস পাওয়ায় এখানকার পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ বেশিরভাগ মানুষই সেকেলে তাঁবুতে বাস করছেন। তাদের শীত নিবারণের মতো পোশাক বা পর্যাপ্ত আশ্রয়ও নেই।