ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত এলপিজির (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) দাম আবারও বেড়েছে। নভেম্বর মাসে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ১৩৮১ টাকা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাম ঘোষণা করে বিইআরসি।
এটি এতদিন ১৩৬৩ টাকায় বিক্রি হয়ে আসছিল।
কমিশন জানিয়েছে, এলপিজির ১৫ কেজি সিলিন্ডার ১৭২৬ টাকা, ১৬ কেজি ১৮৪২ টাকা, ১৮ কেজি সিলিন্ডার ২০৭২ টাকা, ২০ কেজি ২৩০২ টাকা, ২২ কেজি ২৫৩২ টাকা, ২৫ কেজি ২৮৭৭ টাকা, ৩০ কেজি ৩৪৫৩ টাকা, ৩৩ কেজি ৩৭৯৮ টাকা, ৩৫ কেজি ৪০২৮ টাকা ও ৪৫ কেজি ৫১৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঘোষিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়েছে, নভেম্বর ২০২৩ মাসের জন্য সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন এবং বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন যথাক্রমে ৬১০.০০ মার্কিন ডলার এবং ৬২০.০০ মার্কিন ডলার এবং প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৬১৬.৫০ মার্কিন ডলার বিবেচনায় নভেম্বর ২০২০ মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের ভোক্তাপর্যায়ের মূল্য এ সমন্বয় করা হলো।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১২.২৬ টাকায়, গ্যাসীয় অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ০.২৪৭৩ টাকায় বা প্রতি ঘনমিটার ২৪৭.৩০ টাকায় সমন্বয় করা হলো। ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের মুসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ৬৩.৩৬ টাকায় সমন্বয় করা হলো।
কোনও পর্যায়ে (এলপিজি মজুতকরণ ও বোতলজাতকরণ, ডিস্ট্রিবিউটর এবং ভোক্তাপর্যায়ে রিটেইলার পয়েন্টে) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে এলপিজি (বোতলজাতকৃত এবং রেটিকুলেটেড সিস্টেমের মাধ্যমে সরবরাহকৃত)/অটোগ্যাস বিক্রয় করা যাবে না।
এর আগে, অক্টোবর মাসে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৯ বাড়িয়ে ১৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা সেপ্টেম্বর মাসে ১২৮৪ টাকায় বিক্রি হয়ে আসছিল। আগস্ট মাসে যার দাম ছিল ১১৪০ টাকা। তারও আগে জুলাই মাসে যার দাম ছিল ৯৯৯ টাকা।