নিজস্ব প্রতিবেদক::
জুড়ীতে বেইলি ব্রিজে পাথর বোঝাই ট্রাক আটকে যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে লাঠিটিলা সহ জুড়ীর পূর্বাঞ্চলের এলাকাগুলোর সাথে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভোর রাতে উপজেলার জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কের উত্তর ভবানীপুর ডাক বাংলো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে শিক্ষার্থী সহ দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো পথচারী।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মাল বোঝাই ট্রাকটি ডাইভারশন বেইলি ব্রিজটি অতিক্রম করার সময় স্টিলের পাটাতন ছুটে ব্রীজটি ভেঙে নিচে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। এরপর ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সড়কে উপজেলার পশ্চিম জুড়ী, পূর্ব জুড়ী, সাগরনাল, গোয়ালবাড়ী ও ফুলতলা ইউনিয়নের লোকজন চলাচল করেন। এ ছাড়া তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ও হাজী আপ্তাব উদ্দিন আমেনা খাতুন কলেজ সহ একাধিক স্কুলের শিক্ষার্থীরাও সেতুটি দিয়ে আসা-যাওয়া করেন। ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় আব্দুর রউফ বলেন, রাত আড়াইটার দিকে ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে। ভাঙ্গার সময় তিনটি গাড়ির মধ্যে দুটো গাড়ি পার হলে তৃতীয় গাড়ি যখন ব্রিজ অতিক্রম করবে তখনি ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে। জুড়ী থেকে লাঠিটিলা রোডের সি এন জি চালক ফারুক আহমেদ বলেন, বাজারে প্রবেশের একমাত্র সড়ক হওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। কোনো কোনো গাড়ি দেড় কিলোমিটার ঘুরে একটি গ্রামের রাস্তা দিয়ে আসছে বাজারে। এতে ভাড়াও বেড়েছে।
প্রকল্পটির সাব ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে। বেইলি ব্রিজটি দেওয়া হয়েছে সাধারণত মানুষ চলালচের জন্য। আমাদের সাইনবোর্ডে লেখা আছে ৫ টনের অধিক ভারি যানবাহন চলাচল নিষেধ। এই গাড়ী আইন অমান্য করে প্রায় ৪০ টনের অধিক ভারি লোড বহন করায় বেইলি সেতুটি ভেঙ্গে গেছে। আমরা গাড়ীর মালিককে মামলা করবো। সাধারণ মানুষ চলালচের জন্য প্রাথমিক ভাবে বিকল্প রাস্তা করে দেওয়া চেষ্টা করছি। গাড়ীটি মালিক পক্ষ সরিয়ে নিলে আমরা দ্রুত যোগাযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করবো।