ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
শুরুতে ঝড় তুললেন ডেভিড ওয়ার্নার। ‘বুড়ো হাড়ে ভেলকি’ দেখিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। শেষদিকে অবশ্য সব আলো কেড়ে নিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ব্যাট হাতে বাজে সময় পার করছিলেন। অবশেষে ফিরলেন স্বরূপে। ডাচ বোলারদের রীতিমতো কচুকাটা করে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন। মাত্র ৪০ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছালেন তিনি।
আজ (বুধবার) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ওয়ার্নার-ম্যাক্সওয়েলের রেকর্ডরাঙা সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রানের পাহাড় গড়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্বকাপে টানা দুই হারে অস্ট্রেলিয়াকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল অনেকেই। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে টুর্নামেন্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর টানা জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেমিফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখাল অজি ব্যাটাররা।
যদিও আজ শুরুটা ভালো ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। দলীয় ২৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। ব্যক্তিগত ৯ রানে ভ্যান বেইকের শিকার হন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার মিচেল মার্শ। দ্রুত উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভেন স্মিথের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ক্যাঙ্গারু বাহিনী। রানে ফেরার দিনে স্টিভ স্মিথ ৬৮ বলে ব্যক্তিগত ৭১ রানে ফিরলেও অন্য প্রান্তে ঝড় তোলেন ওয়ার্নার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড ১৬৩ রানের পর আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছালেন অজি এই তারকা ওপেনার। মাত্র ৯১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২ তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। সেঞ্চুরির পথে একাধিক রেকর্ডও গড়েছেন ওয়ার্নার। চতুর্থ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা সেঞ্চুরি পেলেন তারকা এই ওপেনার। এ ছাড়া বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৬টি সেঞ্চুরিতে ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকারকে ছুঁলেন। আর মাত্র একটি সেঞ্চুরি করলেই সবার ওপরে থাকা রোহিত শর্মাকে (৭টি) ধরে ফেলবেন তিনি।
অবশ্য সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি ওয়ার্নার। লগান ভ্যান ভিকের বলে আরিয়ান দত্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৯৩ বলে ১০৪ রান। ওয়ার্নারের বিদায়ের পর সব আলো কেড়ে নিলেন ম্যাক্সওয়েল। একের পর এক চার-ছয়ে ডাচ বোলারদের দুঃস্বপ্নই উপহার দিয়েছেন তিনি।
ইনিংসের একেবারে শেষ দিকে ৪০ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ম্যাক্সওয়েল। বাস ডি লিডের বলে ছক্কা মেরে করেন বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ড। ভেঙ্গে দেন এইডেন মার্করামের রেকর্ডকেও। চলতি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই দিল্লিতেই ৪৯ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন মার্করাম। তবে সেই রেকর্ড টিকলো কেবল ১৮ দিন।
ম্যাক্সি ঝড়ে শেষ ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলে নেয় ১৩১ রান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৪৫ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে কেবল পাকিস্তানের। সেখানে অজিদের বিপক্ষে জিততে হলে ৪০০ রান তাড়া করতে হবে ডাচদের।
ব্যাটারদের দাপটের ম্যাচে রান খরচায় সেঞ্চুরি দিলেন বাস ডি লিড। ২ উইকেট শিকার করলেও ১০ ওভার বল করে ১১২ রান দিয়েছেন তিনি। যা ওডিআইতে সবচেয়ে ব্যয়বহুল।