গতকাল মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিকিমের উরজা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুংথাং বাঁধ। তিস্তা নদীর উজানে অবস্থিত এই বাঁধটিকে অতীতে ‘তিস্তা উরজা’ নামে ডাকা হতো।
আজ বুধবার হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার পানির তোড়ে চুংথাং বাঁধের সঙ্গে সংযুক্ত পাওয়ার হাউসটি ভেসে গেছে।
সিকিম উরজা লিমিটেডের নির্বাহী চেয়ারম্যান সুনীল সারাওগি বলেন, ‘চুংথাংয়ে অবস্থিত ওই বাঁধটি মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যেই ভেসে গেছে। আমরা আরও দেখেছি, ২০০ মিটার দীর্ঘ ওই বাঁধটির সঙ্গে সংযুক্ত পাওয়ার হাউসটিও ভেসে গেছে। পুরো পাওয়ার হাউসটিই পানির নিচে তলিয়ে গেছে।’প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অধীনে উত্তর সিকিম জেলার চুংথাং এবং মাঙ্গানের মধ্যে ওই বাঁধটি নির্মিত হয়েছিল। আর নির্মাণের পর থেকে গত বছরই প্রথমবারের মতো লাভের মুখ দেখেছিল ওই প্রকল্প।২৫ হাজার কোটি রুপি দিয়ে নির্মিত উরজা প্রকল্পে সিকিম সরকারের ৬০ শতাংশ শেয়ার ছিল। প্রকল্পের সবগুলো উৎপাদন ইউনিট ২০১৭ সালে চালু হয়েছিল।প্রকল্পের নির্বাহী চেয়ারম্যান সারাওগি বলেন, ‘ড়তকাল রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে ইন্দো-তিব্বতি বর্ডার পুলিশের কাছ থেকে বাঁধের বিষয়ে আমরা প্রথম তথ্য পাই। পরে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টিম সেখানে পৌঁছায় বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু গেট খুলে দেওয়ার আগেই বাঁধটি ভেসে গেছে। আমাদের লোকেরা দৌড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছে।’সিকিমে গতকাল রাতের হঠাৎ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে। আর অন্তত ছয়টি সেতু ধসে পড়েছে।