রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে আগামী সেপ্টেম্বরে: প্রকল্প পরিচালক
পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট) আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে উৎপাদনে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ বুধবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প এলাকা ঘুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর। ড. শৌকত আকবর বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে আনার জন্য সরকারের অন্য সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করলে আমরা আশা করছি—আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করতে পারব। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র আমূল বদলে যাবে উল্লেখ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াসেফ ওসমান বলেন, ‘এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে এলে জাতীয় অর্থনীতিতে কমপক্ষে জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ যাবে উত্তরবঙ্গে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মাণাধীন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দেনা পরিশোধে জটিলতা সৃষ্টি হয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেশটির মুদ্রা রুবলে পরিশোধে চাপ দেওয়া হলেও বাংলাদেশ রুবল সংকটের কথা জানিয়ে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধের কথা বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাধা আসে। রাশিয়াকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের টাকা পরিশোধে সৃষ্টি হয় নতুন জটিলতা।এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘পেমেন্ট ইস্যুতে সারা দুনিয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা তো দুনিয়া থেকে আলাদা না। বাট এনি ওয়ে পেমেন্ট ইস্যুর সমস্যাটা সমাধান করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। পেমেন্টের সমস্যাটা সমাধান হয়ে যাবে।