বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, আইনমন্ত্রী আইনের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা করেছেন। রাজনৈতিক ব্যাখ্যা এ কারণেই বলব, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে সরকার চাইলে একজন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সাজা মওকুফ করতে পারে। সাজা কমাতে পারে, সাময়িকভাবে সাজা স্থগিত করতে পারে। শর্তযুক্ত বা শর্তমুক্তভাবে। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ওনারা শর্ত যুক্ত করে দিয়েছেন। শর্ত তুলে নিলেই খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারেন।
বুধবার সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনে নিজ কার্যালয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ৪০১(৬) ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকার চাইলে সাধারণ বা বিশেষ নির্বাহী আদেশে যে কোনো বন্দির ক্ষেত্রে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো হলে তিনি চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসবেন। কারণ অন্য একজন নেত্রী দেশ ছেড়ে গেলেও খালেদা জিয়া কখনো দেশ ছেড়ে যাননি।
রাষ্ট্রপতির কাছে খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তো রাষ্ট্রপতির অর্ডারে বের হননি। এখনো খালেদা জিয়া নির্বাহী আদেশের আন্ডারেই আছেন। শর্তযুক্ত মুক্তিতে আছেন। খালেদা জিয়ার সব কিছু এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। তিনি চাইলেই এখন একটা কিছু করতে পারেন না। উনার সব দায়দায়িত্ব সরকার প্রধানকেই বহন করতে হবে।