23 December 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

পুতিনের কোন প্রতিদ্বন্ধী নেই

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলে তখন তার সঙ্গে লড়াই করার মতো প্রকৃত কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে না। সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ রাশিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম আরবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন।

পেশকভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এখনও তার প্রার্থিতার বিষয়ে মনোনয়নের ঘোষণা দেননি। ‘তবে আমরা যদি ধরে নিই যে, তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন, তাহলে বর্তমান পর্যায়েও প্রেসিডেন্টের জন্য সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না,’ বলেন ক্রেমলিনের এই মুখপাত্র।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থন রয়েছে। সোভিয়েত আমলের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির সাবেক এজেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর অস্থিতিশীল রাশিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে দেশটিতে নিজের আধিপত্য জোরাল করেছেন তিনি।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়ে পুরোমাত্রার এক যুদ্ধের সূচনা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর ইউরোপে পশ্চিমাদের সাথে রাশিয়ার বৃহত্তম সংঘাতে পরিণত হয়েছে।

ইউক্রেনে যুদ্ধ মস্কোর পরিকল্পনা মাফিক চলছে না। গত জুনে ইয়েভজেনি প্রিগোজিন নেতৃত্বাধীন রাশিয়ার ভাড়াটে সামরিক বাহিনী ওয়াগনারের বিদ্রোহের মুখোমুখি হন পুতিন। পরে এক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান প্রিগোজিন।

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধের কারণে পশ্চিমারা রাশিয়ার ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা মস্কোকে চীনের দিকে তার পথ ত্বরান্বিত করতে বাধ্য করেছে।

গত মার্চে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পুতিনকে বলেছিলেন, তিনি নিশ্চিত যে, রাশিয়ার নাগরিকরা আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্রেমলিন প্রধানকে সমর্থন করবেন।

বেশ কিছু মতামত জরিপে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। যদিও দেশটির বেশিরভাগ মানুষ সংবাদের জন্য এখনও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ওপর নির্ভর করেন। লেভাদা-সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী, গত আগস্টে পুতিনের প্রতি রাশিয়ানদের সমর্থনের হার ছিল ৮০ শতাংশ; যা ইউক্রেন যুদ্ধের আগের সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।

জরিপে দেখা যায়, রাশিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশই ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর অভিযানকে সমর্থন করে। যদিও দেশটির বিরোধী রাজনীতিবিদ ও কিছু পশ্চিমা কূটনীতিক বলেছেন, রাশিয়ার এই ধরনের মতামত জরিপকে বিশ্বাস করা যায় না।

সূত্র: রয়টার্স।