ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির গোল উদযাপনের (সেলিব্রেশন) ভঙ্গি কারও অজানা নয়। তবে আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের নতুন অধ্যায় শুরু হতেই তাকে ভিন্ন কিছু সেলিব্রেশন করতে দেখা গেছে। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে তিনি ইন্টার মায়ামিকে লিগস কাপের ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছেন। এই আর্জেন্টাইন মহাতারকার মাঠের উপস্থিতিই জানান দিচ্ছে কতটা নির্ভার ও স্বস্তিতে আছেন তিনি। মেসি মার্ভেল সিরিজের প্রধান চরিত্রের অনুকরণে করা সেসব উদযাপনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
এর আগে মেসির স্ত্রী অ্যান্তোনেলা রোকুজ্জো নিজের ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন, মেসির এমন সেলিব্রেশনের অনুপ্রেরণা হলেন মার্ভেলের জনপ্রিয় চরিত্ররা। মেসি মার্ভেলের জনপ্রিয় চরিত্রদের ভঙ্গিমাতে মায়ামির গোল সেলিব্রেশন করছেন। এ নিয়ে তখন মেসি কিছু না বললেও এবার পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিষয়টা।
শুরুটা হয়েছিল ‘থর’কে দিয়ে। এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ‘স্পাইডারম্যান’-এ। আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে মায়ামির ৪-০ গোলে জয়ের দিন মেসিকে দেখা যায় থরের মতো হাত বাড়িয়ে হাতুড়ি ধরার মতো উদযাপন করতে। এরপর অরল্যান্ডো সিটির ম্যাচে গোল করে মার্ভেলের ব্ল্যাক প্যান্থারের মতো দু’হাত বুকের সামনে এনে ‘ওয়াকান্ডা ফরএভার’ ভঙ্গিতে করেছিলেন মেসি। সর্বশেষ শার্লটের বিপক্ষে জিতে সেমিফাইনালে ওঠে মায়ামি। ম্যাচটিতে গোল করার পর মার্ভেলের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র স্পাইডারম্যানের মতো মেসিকে উদযাপন করতে দেখা যায়।
— B/R Football (@brfootball)
August 17, 2023
এসব উদযাপন নিয়ে মায়ামি হেরাল্ডকে মেসি জানিয়েছেন, ‘আমার তিনটি সন্তান এখনও ছুটিতে আছে এবং তাদের এখনও স্কুল শুরু হয়নি। তাই প্রতি রাতে আমরা মার্ভেল সুপারহিরো দেখি। তারাই এই ধারণা নিয়ে এসেছিল। তারা আমাকে বলেছিল যে, প্রতিবার আমি খেলায় গোল করার পরে সুপার-হিরোর মতো সেলিব্রেশন করব। তাদের কথা শুনেই আমি একটি গোল করার পরে একটি মার্ভেল সুপারহিরোর মতো সেলিব্রেশন করি। এইভাবে ধারণাটি শুরু হয়েছিল এবং আমি এই অভ্যাসটি অব্যাহত রেখেছি।’
ইন্টার মায়ামির জার্সিতে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন মেসি। সেখানে উঠেছিল বার্সেলোনা ও পিএসজিতে থাকাকালীন সময়ের প্রসঙ্গ, ‘আমি পিএসজিতে যাওয়ার জন্য বার্সেলোনা ছাড়তে চাইনি। এক রাতের সিদ্ধান্তে বার্সা ছেড়েছিলাম। কিন্তু আমি সবসময় বার্সেলোনাতেই থাকতে চেয়েছি। প্যারিসে থাকাটা আমার কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। কিন্তু এখানে সম্পূর্ণ উলটো ঘটনাই ঘটছে আমার সঙ্গে। ভাবনার চেয়েও দ্রুত সময়ে মানিয়ে নিয়েছি।’
আগামীকাল (রোববার) সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময়) ফাইনালে ন্যাশভিলের মোকাবিলা করবে মায়ামি। মেসির মায়ামি অধ্যায় শুরুর পর থেকেই দারুণ উন্মাদনায় ভাসছেন ক্লাবটির সমর্থকরা। সেই ধারাবাহিকতা তাদের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। সে কারণে তুমুল চাহিদাপূর্ণ ম্যাচটির টিকিটের দামেও যেন আগুন লেগেছে! বাংলাদেশি মূল্যে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ লাখ টাকার কিছু বেশি অঙ্কে পৌঁছে গেছে টিকিটের দাম।