ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
আফ্রিকা মহাদেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুইদিনব্যাপী সম্মেলন করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সম্মেলনে— ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে ও একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে— পুতিনের প্রতি চাপ প্রয়োগ করেছেন আফ্রিকান নেতারা।
তবে সম্মেলনে পুতিন দাবি করেছেন, তারা ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তিতে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে খসড়াও তৈরি হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ইউক্রেন সেই চুক্তি সম্পাদন থেকে সরে যায়।
পুতিন আরও দাবি করেছেন, চুক্তি করতে স্বেচ্ছায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে নিজ সেনাদের সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘এই শান্তি চুক্তির একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কিয়েভ থেকে আমাদের সেনাদের প্রত্যাহার করার পর— ইউক্রেন আগের সব চুক্তি পরিহার করে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘শান্তি চুক্তির শর্ত হিসেবে আমাদের সেনা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছিল…. অবশ্যই ওই সময় কি চুক্তি হয়েছিল সে ব্যাপারে আমি বিস্তারিত বলব না… সম্ভবত এখন বলাটা খুব বেশি ঠিক হবে না।’
পুতিন যদিও দাবি করেছেন শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনের রাজধানী থেকে সেনাদের সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি— তবে যুদ্ধের পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, রুশ সেনারা আসলে বাধ্য হয়ে পিছু হটে সীমান্তের দিকে চলে গিয়েছিল।
এদিকে ইউক্রেন যদি রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে তাহলে তাদের নিজ ভূখণ্ডের ২০ শতাংশ ছেড়ে দিতে হবে। যা কিয়েভের শাসকরা কোনোভাবেই মানতে রাজি নয়। ইউক্রেন শর্ত দিয়েছে, রাশিয়া যদি তাদের সঙ্গে শান্তি করতে চায় তাহলে আগে সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নিজ সেনাদের ইউক্রেনে হামলা করার নির্দেশ দেন পুতিন। হামলা চালানোর তিন দিনের মধ্যে কিয়েভে পৌঁছে গিয়েছিলেন রুশ সেনারা। কিন্তু সেখান থেকে তারা আবার পিছু হটেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান