ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে গত ২৩ জুন বিদ্রোহ শুরু করেন ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। তবে ওইদিন রাতেই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থামিয়ে দেন তিনি। এই বিদ্রোহ থামাতে প্রিগোজিন ও রাশিয়ার সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এরমধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল, ওয়াগনার প্রধানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন হয়ত প্রিগোজিনকে ছেড়ে দিয়েছেন; কিন্তু তাকে শায়েস্তা করার চিন্তা-ভাবনা পুরোপুরি বাদ দেননি। এখন তিনি এ ব্যাপারে সময় নিচ্ছেন।
সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস আসপেন নিরাপত্তা ফোরামে শুক্রবার (২১ জুলাই) এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘পুতিন এখন সম্ভবত সময় নিচ্ছেন এবং ওয়াগনারের নেতাকে কীভাবে সামলাবেন সেটি নিয়ে কাজ করছেন। ওয়াগনার গ্রুপ রাশিয়ার নেতৃবৃন্দের জন্য এখনও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আফ্রিকা, লিবিয়া এবং সিরিয়ার মতো দেশে তারা রুশ সরকারকে সহায়তা করছে। এ কারণে পুতিন প্রিগ্রোজিনকে ওয়াগনারের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং সরিয়ে দেবেন।’
সিআইএ প্রধান জানিয়েছেন তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছেন পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করেন না এবং সময় সুযোগ বুঝে প্রতিশোধ নিয়েও নেন। এখন প্রিগোজিনকে যদি কোনো শাস্তি না দেওয়া হয়— তাহলে তিনি অবাক হবেন।
এ ব্যাপারে উইলিয়াম বার্নস বলেছেন, ‘পুতিন হলেন এমন ব্যক্তি যিনি মনে করেন, প্রতিশোধ ঠান্ডা করে পরিবেশন করা শ্রেয়। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, পুতিন হলেন শোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বাসী। যদি প্রিগোজিনের ওপর পরবর্তী প্রতিশোধ না নেওয়া হয় তাহলে আমি অবাক হব।’
সূত্র: বিবিসি