22 December 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

হ্যাটট্রিক নাটকীয়তায় বাংলাদেশের জয়

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

আফগানিস্তান: ১৫৪/৭ (২০ ওভার)

বাংলাদেশ: ১৫৭/৮ (১৯.৫ ওভার)

ফল: বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ৬ রান। করিম জানাতের প্রথম বলে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান মিরাজ। ৫ বলে প্রয়োজন ২। পুল করতে গিয়ে আউট হন মিরাজ। ৬ বলে ৮ রান করেন তিনি। এরপর তাসকিন শর্ট-ওয়াইড বলে খোঁচা দেন উইকেটের পেছনে। ২ বলে ২ উইকেট নেই। এরপর নাসুম এসে ফেরেন সাজঘরে। হ্যাটট্রিক করেন করিম জানাত। ২ বলে প্রয়োজন ২ রান। এরপর শরিফুল দারুণ কাটে চার মেরে এনে দেন শ্বাসরুদ্ধকর জয়। ১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে।

ভরসা হৃদয়ে

জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ১৯ রান। শুধু সিঙ্গেল নিলেও আসে সহজ জয়। কিন্তু ১৮তম ওভারে রশিদের দ্বিতীয় বলে সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন শামীম। বল উঠে যায় আকাশে, ক্যাচ নেন গুরবাজ। ২৫ বলে ৩৩ রান করেন শামীম। তার আউটে ভেঙে যায় ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি। শামীম আউট হলেও ভরসা হয়ে ক্রিজে আছেন হৃদয়। তার সঙ্গী মিরাজ। শেষ ২ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৪ রান।

শামীম-হৃদয়ের ব্যাট দিচ্ছে ভরসা

৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার পথে ত্রাণকর্তা দুই তরুণ তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ২৯ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন তারা। ফিফটি জুটির পর জীবন পান শামীম। মুজিবের বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন শামীম, স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন নাজিব। এই দুজনের ব্যাটে ভরসা দেখছে বাংলাদেশ।হৃদয় ৩৮ ও শামীম ৩৩ রানে ব্যাটিং করছেন।

শামীম-হৃদয়ে ৭৮ বলে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি

সাকিবের আউটের পর ক্রিজে আসেন শামীম। তাকে শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে সাবলীল। অন্যদিকে ক্রিজে সেট হওয়া হৃদয়ের ব্যাটও কথা বলছে। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১৩ ওভারে বাংলাদেশ ১০০ রান করে।

আক্রমণের আভাস দিয়ে সাজঘরে সাকিব

বৃষ্টির পর ফিরেই ছন্দে ফেরার আভাস দেন সাকিব। ফরিদকে টানা দুই চারের মারের পর রশিদকেও হাঁকান দৃষ্টিনন্দন এক চার। তাকে দেখা যাচ্ছিল সাবলীল। কিন্তু টিকে থাকতে পারলেন না। ফরিদের ওয়াইড শর্ট বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন। কিন্তু টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি। ডিপ পয়েন্টে দাঁড়ানো করিম সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন। ৩ চারে ১৭ বলে ১৯ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ক্রিজে তাওহিদের সঙ্গী শামীম পাটোয়ারি। এই দুজনের ব্যাট এখন ভরসা। প্রয়োজন একটি লম্বা জুটির।

১৫ মিনিট পরেই খেলা শুরু

শুরু থেকে বৃষ্টির তীব্রতা ছিল না। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি থেমে যায় মিনিট পাঁচেকের মধ্যে। এরপর মাঠ প্রস্তুত কর‍তে লাগে ১০ মিনিট। ১৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হয়। ক্রিজে এসেই প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন সাকিব।

থেমেছে বৃষ্টি

বৃষ্টি আসার মিনিট পাঁচেকের মধ্যে আবার থেমে যায়। সরানো হচ্ছে কাভার। খেলা শুরু হবে দ্রুত।

পাওয়ার প্লের পর সাজঘরে লিটন

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফেরেন শান্ত। আর পাওয়ার প্লে শেষে প্রথম ওভারেই ফেরেন লিটন। আজমতুল্লাকে মারতে গিয়ে মিস টাইমিং হয়। মিড-অফে বল উঠে যায় আকাশে। সহজ ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি রশিদ। ১৯ বলে ১৮ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী তাওহিদ।

মুজিবের ঘূর্ণিতে ভাঙল শান্ত-লিটনের প্রতিরোধ

জায়গা করে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু মিসটাইমিং। বল শান্তর কনুইতে লেগে ভেঙ্গে শান্তর উইকেট। ৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দুজনে সাবলীলভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু শান্তর বোল্ডে ভেঙে যায় ২৫ রানের জুটি। শান্ত ১২ বলে ১৪ রান করেন। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান তোলে।

শুরুতেই রনির স্ট্যাম্প ওড়ালেন ফারুকি

ফারুকি জুজু যেন কাটছেই না। চতুর্থ বলে দারুণ চারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দারুণ শুরুর। কিন্তু রনি তালুকদার মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেননি। ১ বল ডট দিয়েই ফেরেন বোল্ড হয়ে। উড়ে যায় রনির অফ স্ট্যাম্প। ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন এই ডানহাতি ওপেনার, কিন্তু ১৩৯ কিলোমিটার গতির বলে পরাস্ত হন। ৫ বলে ৪ রান করেন রনি। শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী শান্ত।

ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল আফগানিস্তান

বল হাতে দারুন শুরু করে বাংলাদেশ। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারী দল। নবী-আজমতুল্লার ৩১ বলে ৫৬ রানের জুটি মূলত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। নবী ফিফটি করে অপরাজিত ছিলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৫৪ রান। অন্যদিকে আজমতুল্লা মাত্র ১৮ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া নাজিবুল্লাহ ২৩ ও গুরবাজ ১৬ রান করেন। শেষ ৫ ওভারে আফগানিস্তান মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন সাকিব। এ ছাড়া বাকিরা ১টি করে উইকেট নেন।

নবীর ফিফটি, মোস্তাফিজের প্রথম উইকেট

আফগানিস্তানের ক্রাইসি ম্যান সময়মতো দাঁড়িয়ে গেলেন। আজমতুল্লা কে সঙ্গে নিয়ে গড়েন জুটি। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে মোশ্তাফিজকে দারুণ চারে নবী দেখা পান ১৫তম ফিফটির। ৩৯ বলে ৬টি চার ও ১টি ছয়ে ফিফটি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। নবীর ফিফটির পর সাজঘরে ফেরেন রশিদ। এটি মোস্তাফিজের প্রথম উইকেট।

সাকিবের প্রথম দুই বলে ছক্কা মেরে শেষ বলে আউট আজমতুল্লা

১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কার পর দ্বিতীয় বলে লং অনে ইনিংসের সবচেয়ে বড় ছক্কা হাঁকান আজমুল্লা। শেষ বলে উড়িয়ে মারতে ধরা পড়েন শর্ত থার্ডে। পেছেন গিয়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন তাসকিন। মাত্র ১৮ বলে ৩৩ রান করেন আজমত। ভেঙে যায় মাত্র ৩১ বলে ৫৬ রানের জুটি। আজমতুল্লার আউটের পর নবীর সঙ্গী রশিদ।

১৫.৪ ওভারে আফগানদের ১০০, পূরণ হবে রশিদের চাওয়া?

উইকেটের মিছিলে ঠিকভাবে রান তুলতে পারেনি আফগানিস্তান। ১০০ করতেই খরচ হয় ১৫.৪ ওভার। উইকেট হার‍রিয়েছে ৫টি। টস হারের পর রশিদ খান বলেছিলেন ১৫০ রানের বেশি করতে চান। আর মাত্র ৪.২ ওভার বাকি। আফগানরা কি পারবে শেষ পর্যন্ত রশিদের চাওয়া পূরণ করতে?

মিরাজের ঘূর্ণিতে লিটনের দুর্দান্ত ক্যাচ

৫২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফগানিস্তান। এরপর নবী-নাজিবুল্লাহর ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে আফগানিস্তান। দুজনে ধীরে খেলার চেষ্টা করছিলেন। এরপরেই আঘাত মিরাজের। ইনসাইড এজ হয়ে ফেরেন নাজিবুল্লাহ। দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন লিটন। ভেঙে যায় ৩৫ বলে ৩৭ রানের প্রতিরোধের জুটি। আউট সাইড অফের বল ডিপ থার্ডে খেলতে চেয়েছিলেন নাজিবুল্লাহ। কিন্তু হলো না। প্যাড-ব্যাট হয়ে বল ভাসে শূন্যে। লিটন এগিয়ে এসে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে তালুবন্দি করেন। ২৩ বলে ২৩ করেন নাজিবুল্লা। ক্রিজে নবীর সঙ্গী ওমরজাই।

দুর্দান্ত পাওয়ার প্লের পর সাকিবের আঘাত

প্রথম ওভারেই সাকিবের ঘূর্ণিতে পরাস্ত করিম জানাত। অ্যাক্রস দ্য লাইন খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফরচুন বরিশালে সাকিবের সতীর্থ করিম। বল উঠে যায় আকাশে। মিড অফে দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ ধরেন শান্ত। ৯ বলে ৩ রান করে ফেরেন করিম। ক্রিজে নবীর সঙ্গী নাজিবুল্লাহ। সাকিব নিজের প্রথম ওভারে ২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। আসা যাওয়ার মিছিলে আফগানরা রান তুলতে পারছে না। ওভার প্রতি আসছে ৬.২ করে। ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৬২ রান। হারিয়েছে ৪ উইকেট।

পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বাংলাদেশ

পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বাংলাদেশ। ৬ ওভারে মাত্র ৪০ রান নিতে পারে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন নাসুম-তাসকিন-শরিফুল। কোনো ব্যাটসম্যানকেই সেট হওয়ার সময় দেননি বাংলাদেশি বোলাররা।

বোলিংয়ে এসেই শরিফুলের উইকেট

পঞ্চ ওভারে শরিফুলকে নিয়ে আসেন সাকিব। দুই বল ডটের পর তৃতীয় বলে হজম করেন ৬। চতুর্থ বলেই ইবরাহীম জাদরানকে ফেরান তিনি। আউটসাইড অফের ব্যাক অব লেন্থের বল। ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। ৬ বলে ৮ রান করেন ইবরাহীম। ক্রিজে করিম জানাতের সঙ্গী নবী।

পারলেন না গুরবাজ

এক বল আগেই মেরেছিলেন চার। পরের বল ডট। এবার তাসকিনকে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট গুরবাজ। স্লোয়ার বলে পুল করেছিলেন। টাইমিংয়ে গড়বড় হয়। স্কয়ার লেগে মিরাজ দারুণ ক্যাচ ধরেন। ১১ বলে ১৬ রান করেন গুরবাজ। এর আগে দ্বিতীয় ওভারে অল্পের জন্য বেঁচে যান গুরবাজ। এবার আর পারলেন না।

ছক্কা মেরেই নাসুমের শিকার জাজাই

নাসুমের তৃতীয় ওভারের প্রথম বল। স্লগ সুইপে উড়িয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান জাজাই। দ্বিতীয় বলেও সুইপ করতে চেয়েছেন। কিন্তু ব্যাটে বলে এক হয়নি। স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ ধরেন হৃদয়। ১টি ছয়ে ১০ বলে ৮ রান করেন জাজাই। ক্রিজে গুরবাজের সঙ্গী ইবরাহীম।

শুরুতেই রনির দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের মহড়া

প্রথম ওভারে নাসুম মাত্র ২ রান দেন। তাসকিনের করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন গুরবাজ। বল উটে যায় আকাশে। কাভারে থাকা ফিল্ডার রনি পেছনে দৌড় দিয়ে বল তালুবন্দি করেন। কিন্তু ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরে মাটিতে পড়তে গিয়ে ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারেননি। তালুবন্দি বল স্পর্শ করে সবুজ ঘাস। দারুণ ক্যাচ ধরেও হলো না।

তিন পেসার তিন স্পিনার নিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে তিন পেসার তিন স্পিনার নিয়ে।

বাংলাদেশ একাদশ

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টির দলে ছিলেন রিশাদ হোসেন ও হাসান মাহমুদ। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির একাদশে তাদের জায়গা হয়নি। এই দুইজনের বদলি হিসেবে খেলবেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

একাদশে যারা, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারি, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।

আফগানিস্তান একাদশ

রশিদ খান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ফরিদ মালিক।

শুরুতেই গ্যালারি হাউজফুল

এদিকে সিলেটে এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। গতকাল থেকে টিকিটের জন্য হাহাকার করছেন দর্শকরা। ছুটির দিন হওয়াতে দর্শকদের চাপ অন্য এক সময়ের তুলোনায় অনেক বেশি। জুমার আগ থেকেই স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে ভিড় করতে থাকেন দর্শকরা। কেউ কেউ দাঁড়িয়েছেন টিকিটের লাইনে, কেউ পাচ্ছেন আবার কেউ হতাশ হয়ে ফিরছেন। কাউন্টার থেকে মাইকিং করে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ম্যাচের শুরুতেই গ্যালারি হাউজফুল।

সাকিবের আশা ৪০ ওভারই হবে

টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব। এ সময় তিনি পুরো ৪০ ওভার খেলা হওয়ার প্রত্যাশা করেন। একাদশের কথা বলতে গিয়ে অধিয়ানয়ক বলেছেন তিন পেসার ও তিন স্পিনারের কথা। এই উইকেটে ভালো শুরুর কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

রশিদের চাওয়ার ১৫০

‘টস আমাদের হাতে নেই। যেহেতু আমাদের ব্যাটিং করতে হবে স্কোরবোর্ডে ১৫০ রান আশা করছি’-টস হরে এভাবেই বলেছেন রশিদ খান।

রোদের মাঝেই বৃষ্টি

আকাশে সারি সারি মেঘের ভেলা। এর ফাঁকেই ছড়িয়ে পড়েছে সূর্যের আলো। এমন রোদের মাঝেই ঝরছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ম্যাচ শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে মাঠে প্রবেশ করে বাংলাদেশ দলের টিম বাস। তারও আধাঘণ্টা আগে আসে আফগানিস্তানের টিম বাস। ক্রিকেটাররা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেই প্রস্তুতির শেষ আঁচড় দিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি থেমে যায়। উইকেটসহ আউটফিল্ডের কিছু অংশে ঢেকে থাকা কাভার সরে যায়।

সাকিবের চিন্তা নিজেদের ঘিরে

এই আফগানবধে বাংলাদেশের বড় বাধা রশিদ-মুজিবদের ঘূর্ণিজাদু। এটাও স্পষ্ট বোলিং আক্রমণের কারণেই মূলত প্রতিপক্ষ অধিনায়কের সমীহ পাচ্ছে সফরকারী দল। তবে বাংলাদেশ আলাদা কাউকে নিয়ে ভাবছে না। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ঘায়েল করার মন্ত্রে নামবে বাংলাদেশ।
‘আমার কাছে মনে হয়, আমরা দল হিসেবে তখনই ভালো খেলি যখন অন্য দলকে নিয়ে চিন্তা না করি। আমরা যখন ওপেন মাইন্ডেড থাকি, কিভাবে মেকাপ করা যায় সেভাবে চিন্তা করি এবং নিজের জায়গা থেকে কিভাবে ১০-২০ শতাংশ উন্নতি করতে পারি সেই চিন্তাগুলো করি। সেগুলো তখন পারফর্ম বেশি করে’ —বলছিলেন সাকিব।

রশিদের নজর বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে

এদিকে রশিদ খানের কাছে এটি যেন প্রস্তুতির মঞ্চ, ‘আমি দলীয়ভাবে চিন্তা করি। আমাদের জন্য এটি প্রস্তুতি। আমার কথা বলতে গেলে, আমি ফল নিয়ে চিন্তা করি না। এই বার্তা স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে। জিততে হবে এমন কিছু ঠিক করে দেওয়া যাবে না। আমার কাছে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রস্তুতি এবং বোলিং, ব্যাটিং কিংবা ফিল্ডিং যেটাই হোক তা শতভাগ দেওয়া।