21 November 2024

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

নেদারল্যান্ড স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করেছে

Share

ফটোনিউজবিডি ডেস্ক:

পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঠেকাতে শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করছে নেদারল্যান্ডস। দেশটির সরকার শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনার পরিবেশ ঠিক রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে বিবিসি।

ডাচ সরকারের এই উদ্যোগ দেশটির স্কুলগুলোর সহযোগিতায় চালু করা হচ্ছে। দেশটিতে আগামী বছরের শুরুতে নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে বা শারীরিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থী ও ডিজিটাল দক্ষতার জন্য যেসব ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ডিভাইসের দরকার হবে, তাদের ক্ষেত্রে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে না।

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ডিভাইসের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বর্তমানে আইনিভাবে কার্যকর করা হবে না। তবে ভবিষ্যতে তা হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

নেদারল্যান্ডসের শিক্ষামন্ত্রী রবার্ট ডিজকগ্রাফ বলেছেন, যদিও মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের সাথে প্রায় ওৎপ্রোতভাবে জড়িত, তারপরও সেগুলো শ্রেণিকক্ষে আনার মতো বস্তু নয়।

‘শিক্ষার্থীদের অবশ্যই শ্রেণিকক্ষে মনোনিবেশ এবং ভালোভাবে শেখার সব সুযোগ দিতে হবে। আমরা বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে জানি, মোবাইল ফোন এটাকে ব্যাহত করে।’

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের স্ক্রিন টাইম সীমিত করা হলে তা তাদের জ্ঞান এবং মনোযোগের উন্নতি ঘটায়। ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচসহ অন্যান্য প্রযুক্তিও ডাচ সরকারের নতুন এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

দেশটির সরকার বলেছে, স্কুল থেকে ডিজিটাল ডিভাইস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের বিষয়টি শিক্ষক, বাবা-মা ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্কুল এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার মাঝে এক চুক্তি স্বাক্ষরের পর এই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

আর এই প্রকল্প কতটা ভালো কাজ করেছে এবং আইনি নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ২০২৪/২০২৫ স্কুল শিক্ষাবর্ষের শেষের দিকে পর্যালোচনা করা হবে।

গত সপ্তাহে ফিনল্যান্ডের সরকারের একই ধরনের সিদ্ধান্তের পর নেদারল্যান্ডসের সরকার নতুন এই ঘোষণা দিয়েছে। ফিনল্যান্ডের সরকার বলেছে, স্কুলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সীমিত করার জন্য আইন পরিবর্তন করা হবে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে।

সূত্র: বিবিসি।